ঢাকা: ২১৬ একর জায়গা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড। মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়াতে অবস্থিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ৩০০ একর পর্যন্ত বিস্তৃত করার সুযোগ থাকবে এবং এর মাটি ভরাটের কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়েছে।
গত রোববার(১ মার্চ’২০১৫) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এসময় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের কাছে প্রাক যোগ্যতা লাইসেন্স হস্তান্তর করে।
বেজা পরিচালনা পর্ষদ এর আগে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি,২০১৫ ইং তারিখে আব্দুল মোনেম লিমিটেড-কে যোগ্যতাসম্পন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাতা হিসেবে অনুমোদন এর সিদ্ধান্ত নেয়।
আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল এর নির্মাণ শেষ হওয়ার মাধ্যমে আনুমানিক ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে ।
আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল এ বিদেশী এবং দেশি বিনিয়োগকারীদের প্লট এর পাশাপাশি ফ্যাক্টরি নির্মাণ করার জন্য জমি ইজারা দেওয়া হবে বলে জানান আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মোনেম।
তিনি আরও বলেন এই অর্থনৈতিক অঞ্চল এর মূল লক্ষ হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাংলাদেশ কে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ।
আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করার একপর্যায়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম মহিউদ্দিন মোনেম বলেন-বিনিয়োগকারীরা নদী, সড়ক, রেল এবং আকাশ পথে যোগাযোগ এর কৌশলগত সুবিধার পাশাপাশি পাবেন বিশ্ব মানের অবকাঠামো স্থাপনা। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি আমদানি রপ্তানি তে সরাসরি অবদান রাখবে ।
আব্দুল মোনেম লিমিটেড এর অপর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.এস.এম মাইনুদ্দিন মোনেম বলেন, আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল এর অভ্যন্তরে পরিবেশ বান্ধব গার্মেন্ট এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বহুগুণ তরান্বিত করবে। অর্থনৈতিক এ অঞ্চলে তথ্য প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিক্স, ডিজিটাল মেশিন, ফাইবার গ্লাস, প্লাস্টিক, ফার্মাসিউটিকাল শিল্প অগ্রাধিকার পাবে।
বেজা নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, তথ্য প্রযুক্তির আদান প্রদান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং পণ্যের বৈচিত্র্যতা ব্যতিত একটি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অসম্ভব। এ ধরনের উদ্যোগ গতানুগতিক ধারার রাষ্ট্রায়ত্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহকে অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে উৎসাহিত করবে।
সরকার আগামী ১৫ বছরের মধ্যে আরও ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যার মাধ্যমে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান ও ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৫