ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

একনেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৫
একনেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন

ঢাকা: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিন হাজার ৫১১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া  হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে পাঁচটি নতুন ও দুটি সংশোধিত।



অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থ তহবিলের (জিওবি) ৪১৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য থেকে ২ হাজার ৪১ কোটি ২৭ লাখ আসবে। বাকি টাকা নিজ নিজ সংস্থার অর্থায়ন থেকে আসবে।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকালে শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
 
একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো, ‘কন্সট্রাকশন অব ১৪ স্ট্রোরেড বিল্ডিং উইথ থ্রি বেইজমেন্ট ফর হেড অফিস অব  প্রকল্প’, এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০১১ সাল থেকে জুন ২০১৪ সাল নাগাদ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে এর মেয়াদ ডিসেম্বর ২০১৫ সাল নাগাদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
 
‘হাটহাজারী অংশ ডিভাইডারসহ প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০০৯ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে এর মেয়াদ জুন ২০১৭ সাল নাগাদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
 
‘পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন কমপ্লেক্স স্থাপন’ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৮ লাখ ৮৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হবে।
 
‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-২’ এর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ৩৩/১১ কেভি ইলেকট্রিক সাবস্টেশন স্থাপন প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে।
 
তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ করে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিকেএসপির ক্রীড়া সুবিধাদি আধুনিকায়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এই প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হবে।
 
‘ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং’ প্রকল্পের মোট বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ৫১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৭ সাল নাগাদ বাস্তবায়িত হবে।
 
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি অফিস তৈরি করা হবে। এ লক্ষ্যেও একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একনেক সভায়। পাসপোর্টের তথ্য আমরা সংরক্ষণ করে রাখতে চাই সেই লক্ষ্যে এক বিঘা জমির উপর ১০ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বর্তমানে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন তৈরি করা হবে।
 
মুস্তফা কামাল আরও বলেন, আমরা বিকেএসপির নিয়ম কান‍ুন আরও নতুনভাবে সাজাবো। ঢাকার বাইরেও বিকেএসপি সম্প্রসারণ করা হবে। এতে করে অনেক ভালো খেলেয়াড় পাওয়া যাবে। খেলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে পরিচিত করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৫ / আপডেটেড ১৫৪৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।