ঢাকা: আমি একজন কৃষক। কিন্তু কৃষক হিসেবে কেউ আমাকে চেনে না।
এই সংগঠনের মাধ্যমে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কুসংস্কারেরর বিরুদ্ধে লড়াই করে আজ আমি সফল। আমাদের এই সফলতা অন্য মহিলাদের কৃষি কাজে উৎসাহিত করেছে।
বৃহস্পতিবার ( ৫ মার্চ) রাজধানী গুলশানের একটি হোটেলে অক্সফাম আয়োজিত 'সাউথ এশিয়া রিজিওনাল ওমেন ফারমার ফোরাম' শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিলেটের কৃষাণী জোৎসনা বেগম এভাবেই নিজের সফলতার কাহিনী বর্ণনা করেন।
জ্যোৎসনা বেগম বলেন, সংগঠনের সবাই কৃষিকাজকে ভালোবাসি। এ কাজ করে এখন আমরা সবাই স্বাবলম্বী।
মহিলাদের কৃষিকাজ করতে নানা ধরনের কুসংস্কার মোকাবেলা করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন কৃষিকাজ শুরু করেছিলাম তখন অনেকেই বলতো মেয়ে লোক কৃষি জমিতে কাজ করলে ফলন ভালো হয় না।
আমি কৃষিকাজ করি বলে, আমার স্বামী বাজারে গেলে অনেকেই তাকে অপমান করেছে। বাসায় এসে সে আমাকে এসব কাজ ছেড়ে দিতে বলছে। কিন্তু আমি পারিবারিক ও সামাজিক নানা প্রতিকূল পরিবেশের সংঙ্গে সংগ্রাম করে কৃষি কাজ চালিয়ে গেছি। আজ আমাকে নিয়ে পরিবার ও প্রতিবেশীরা গর্ববোধ করে।
জ্যোস্না বেগমের মত কৃষি কাজে সফল দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের নারী কৃষরা অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানে। তুলে ধরেছেন নিজের কাজের অভিজ্ঞতা।
পাকিস্তানের আয়শা বেগম বলেন, আমি যে এলাকা বসবাস করি সেখানে বিদ্যুৎ নেই,নেই পাকা রাস্তাঘাট ও শিক্ষার ব্যবস্থা। এরপর ধর্মীয় বিধি নিষেধ রয়েছে। আর এসব মোকাবেলা করে আজ আমি সফল।
নেপাল থেকে আসা বিজোহার বলেন, তাদের কোন কৃষি জমি নেই। বসবাসের জায়গাটুকু সরকার নিয়ে নিতে চেয়েছিল। পরে মহিলাদের সংগঠিত করে টানা ৪ বছর আন্দোলন করে ৩ হেক্টরে জমি সরকার কাছ থেকে পেয়েছি।
শেরপুরের মায়াবতী কোচ বলেন, আমাদের চাষাবাদের জমিগুলো এখন প্রভাবশালীরা দখল করে বাগান বানাচ্ছেন। সরকারে আমাদের কোন প্রতিনিধি নেই বলে আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারছি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৫