ঢাকা: প্রায় ৫ হাজার টাকা কমে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির(আরএডিপি) আকার ৭৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ৫০ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার(১০ মার্চ’২০১৫) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, সংশোধিত এডিপি’র আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি টাকা। পরিবহন, বিদ্যুৎ শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পদ্মাসেতু প্রকল্পে ৮ হাজার ১০০ কোটি টাকায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ’
২০১৪-১৫ অর্থবছরের শুরুতে মোট এডিপি’র আকার নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮০ হাজার ৩১৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তবে চলতি অর্থবছরের অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এসে প্রায় ৫ হাজার টাকা কমিয়ে সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ হলো ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
এনইসি সভা সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়। এতে প্রায় বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সংশোধিত এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭২ হাজার কোটি টাকা। তবে বৈঠকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দাবি ও চাহিদার আলোকে আর ৩ হাজার কোটি টাকার বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে করে এডিপি’র মোট আকার দাঁড়ায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
সভা শেষে মন্ত্রী আরও বলেন, বাড়তি ৩ হাজার টাকা জিওবি খাত থেকে মেটানো হবে। সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের চাহিদা বাস্তবায়নের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গতবছর ৬০ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত এডিপি ছিল সেখান থেকে বেড়ে এবার ৭৫ হাজার কোটি টাকা হলো। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই এই বরাদ্দ দেওয়া হলো এটা আমাদের জন্য বড় একটি অর্জন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫/আপডেটেড- ১৪২৫ ঘণ্টা।
** পরিবহন, শিক্ষা ও বিদ্যুতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব