ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কান্নাকাটি’ করছেন এফবিসিসিআই সভাপতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫
‘কান্নাকাটি’ করছেন এফবিসিসিআই সভাপতি ছবি : শাকিল আহমেদ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজনৈতিক অস্থিরতা বন্ধে আন্দোলন, আলোচনা ও সংলাপ করেও কোনো ফল না পেয়ে এবার ‘কান্নাকাটি’ করছেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।

সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি নিজেই এ কথা জানান।



কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, আন্দোলন করেছি, রাস্তায় নেমেছি, আলোচনা করেছি। এমনকি বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তাই এখন বাংলাদেশের বড় জামাতের ইমাম (শোলাকিয়া) ফরিদ উদ্দীন মাসউদকে নিয়ে দোয়া দরুদ পড়ছি। আর কান্নাকাটি করছি। যারা বিভেদ সৃষ্টি করছেন, তাদের মনে আল্লাহ যেন রহম করেন।

তিনি বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াওয়ের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা আর ফিরে পাবো না। এ ৭০ দিনের হরতাল-অবরোধে মূল বাজেটের প্রায় অর্ধেকের বেশি পরিমাণ অর্থ ক্ষতি হয়ে গেছে। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন কোটি ব্যবসায়ী। তারা এখন মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। আর এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পরিবহন খাত।

কাজী আকরাম প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তারা কি সরকারের কোনো ক্ষতি করতে পেরেছেন? কিন্তু আমাদের অর্থনীতির ক্ষতিতো হয়ে গেছে। যে ক্ষতি হয়ে গেছে, তাতো আর ফিরে পাবো না।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এ আন্দোলনটা তখনই হচ্ছে, যখন ২০২১ সালে দেশটা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। যখন দেশের অর্থনীতি মডেলে রুপান্তরিত হচ্ছিলো।

তার মতে, ক্ষতির বিষয়টি বেশি প্রচার করলে তারা(বোমা হামলাকারীরা) বেশি উৎসাহিত হবে। ধরেন, যে ছেলেটা বোমা মারছে, সে যদি জানে সাতটা লোক তার বোমায় মারা গেছেন, তাহলে সে উৎসাহিত হবে। আর যদি না জানে তাহলে সে আর উৎসাহিত হবে না। তাই ক্ষতির বিষয়টি জানানো যাবে না।

আমি বলবো, এখনো সময় আছে। বন্ধ করেন। জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন বন্ধ করেন। আগে আমি ওনাদের (বিএনপি) বলছি, জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করেন। পরে আমরা অন্যদিকে(সরকারের কাছে) যাবো শান্তির জন্য। কিন্তু তা হলো না বলে মন্তব্য করেন কাজী আকরাম।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। আর অন্য দলকে বলবো, সঠিক পথে আসেন। সরকারকে বলবো, সংলাপ বলেন আর যাই বলেন, দেশে শান্তি আনেন।

বিরোধী জোটকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা এটাকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলছেন। এখানে রাজনীতিরতো কিছু দেখছি না। শুধু অর্থনীতির ধংস দেখছি।
আমিতো বুঝতে পারছি না কি করবো। সবতো করেছি। এখন কান্নাকাটি শুরু করেছি।

অযৌক্তিক কাজ করে যৌক্তিক সমাধান আশা করা যায় না। তবে কয়েকদিনে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিছুটা ভালো হয়েছে। আশা করি, আরো ভালো হবে বলেও মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।
 
‘অর্থনীতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন টাইম ওয়াচ নামের একটি সংবাদ ম্যাগাজিন।

সংলাপে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান।

আলোচনায় অংশ নেন বিডি সিএনজি ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের আহবায়ক মাসুদ খান, টিডাবের চেয়ারম্যান মো. জামিউল আহমেদ, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন প্রমুখ।

প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টাইম ওয়াচের উপদেষ্টা সম্পাদক বজলুর রায়হান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।