ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মধ্য আয়ের দেশের জন্য নেতৃত্বের উন্নয়ন ঘটাতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫
মধ্য আয়ের দেশের জন্য নেতৃত্বের উন্নয়ন ঘটাতে হবে নসরুল হামিদ বিপু

ঢাকা: ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে বিদ্যুৎখাতের গুরুত্ব তুলে ধরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, এজন্য আমাদের নেতৃত্বের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব বেসরকারি খাত সহায়তা করেছে তাদের দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে।



শনিবার (২১ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে জ্বালানি খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর জিডিপি ২ শতাংশ নির্ভর করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই খাতকে যতো দ্রুত উন্নত করতে পারবো, ততো তাড়াতাড়ি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে পারবো।

২০২১ সালে জনপ্রতি ৬০০ কিলোওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তা অর্ধেক রয়েছে। এজন্য আমাদের নেতৃত্বের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।

সরকারি সংস্থাগুলোকে নীতি প্রণয়ন ও রেগুলেটরি থেকে বেরিয়ে এসে আরও কার্যকর করার ওপর গুরুত্ব দেন নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, সংস্থাগুলোকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হবে।

আগামী বছরগুলোতে ভর্তূকি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য বিকল্প অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

পাওয়ার কোম্পানিগুলোকে ব্রান্ডিং করার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরার পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী।

বাজারে রিনিউবল এনার্জির কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ অনেক নিম্নমানের উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এগুলোকে সার্টিফাইড করার নির্দেশ দেন।

বিদ্যুতের আঞ্চলিক সরবরাহের জন্য প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত-নেপাল থেকে ৬/৭ হাজার বিদ্যুৎ নেওয়া হবে। সেগুলো তুলনামূলক কম মূল্যের।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে প্রতিদিন ৪/৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। এভাবে উত্তোলন করতে ২০০ বছর সময় লাগবে। অথচ ৩৫/৪০ বছরের মধ্যে উত্তোলন করা ভালো। আমাদের সে জায়গায় যেতে হবে।
 
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ আর খান বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরও সমন্বয় করতে হবে। পাশাপাশি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করলে এ খাতের উন্নতি হবে।
 
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ, পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম খান।
 
এর আগে কর্মশালার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
 
বক্তারা বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে নিয়োজিতদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, জনবল বৃদ্ধি, বিনিয়োগের সহজ পরিবেশ, বিকল্প অর্থ সংস্থান, দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করে তা দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সর্বপরি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।