ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভিয়েতনামকে বাংলাদেশি পণ্য নেওয়ার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫
ভিয়েতনামকে বাংলাদেশি পণ্য নেওয়ার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর ছবি: শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে অধিকহারে পণ্য নিতে ভিয়েতনামের প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এতে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


 
সোমবার(২৩ মার্চ’২০১৫) বিকালে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সফররত ভিয়েতনামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
 
ভিয়েতনামের বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার হোয়াং কোয়াক বুয়াং’র নেতৃত্বে ৭ সদস্য প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুইয়েন কোয়াং থাক, ভিয়েতনাম দূতাবাসের কর্মকর্তা খান ভু এ প্রতিনিধি দলে ছিলেন।
 
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বমানের ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কাপড়, সিরামিক, টাইলস্ ও তৈরি পোশাক উৎপাদন করছে। ভিয়েতনামের উদ্যোক্তারা এসব পণ্য বাংলাদেশ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানি করতে পারেন। এতে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।
 
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ভিয়েতনামকে স্বীকৃতি প্রদান করে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির কারণে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে।
 
বাংলাদেশে কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদন, আইটি, ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স, হাই কোয়ালিটি গার্মেন্ট, জ্বালানি, রাসায়নিক সার ইত্যাদি খাতে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতেও প্রতিনিধি দলকে আহ্বান জানান আমির হোসেন আমু।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে প্রতিবছর শতকরা ২০ ভাগ হারে বাণিজ্য বাড়ছে। ২০০২ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিলো ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে তা বেড়ে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
 
ভিয়েতনামের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৈঠকে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভিয়েতনাম বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম বিশ্বমানের ওষুধ, সিমেন্ট, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিকসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়াবে।

পাশাপাশি বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে কৃষি ও নির্মাণ যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সারসহ অন্যান্যখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রতিনিধি দল।
 
প্রতিনিধি দলটির পক্ষ থেকে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসায়ী প্রতিনিধির সফর বিনিময়, বাণিজ্য মেলা ও পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন, আমদানি-রফতানি ভিসাদান পদ্ধতি সহজ করার পরামর্শ দেন।
 
বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভিয়েতনামের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। আমি তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছি।
 
প্রথম দিকে বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামে বেশি রফতানি করা হতো কিন্তু গত কয়েক বছর ভিয়েতনাম থেকে বেশি আমদানি করা হচ্ছে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। এরমাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।