ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিময় হারে টাকার স্থিতিশীলতা ভালো নয়

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৫
বিনিময় হারে টাকার স্থিতিশীলতা ভালো নয় ছবি: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত / ফাইল ফটো

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বর্তমানে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ ধরনের স্থিতিশীলতা ভালো নয়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রার সঙ্গে সমন্বয় রেখে টাকার মান কমা উচিত।
 
বুধবার (০৮ এপ্রিল) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিবিদরা টাকার বিনিময় হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন মুদ্রার মান কমেছে। কিন্তু টাকার মান স্থিতিশীল রয়েছে। এ ধরনের স্থিতিশীলতা অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টাকার মান কমা উচিত বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।
 
ভারত যেভাবে ডলারের বিপরীতে রুপির মান অবমূল্যায়িত করেছিলো সেভাবে টাকার মান অবমূল্যায়িত করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঠিক তা না, তবে আমরা যেভাবে টাকার মান স্থিতিশীল রাখছি তা অপ্রয়োজনীয়। ইউরো ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে টাকার মানও অবমূল্যায়িত হওয়া প্রয়োজন ছিলো।
 
স্থানীয় সরকারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের পরিকল্পনায় স্থানীয় সরকারের বিষয়টি ছিলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সরকারি কাজের একটি বড় অংশ সম্পাদন করবে স্থানীয় সরকার। তবে গত তিন মাসে স্থানীয় সরকারের বিষয়ে আমরা কিছু করিনি। এটি আমার করার কথা ছিলো। কিন্তু আমি সময় দিতে পারিনি। এটি আমাদের ব্যর্থতা।
 
তিনি আরও বলেন, এখন আমি বাজেট নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। তাই এখন আমি এ বিষয়ে সময় দিতে পারবো না। আমার জন্য সব থেকে ভালো সময় হলো নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর। সুতরাং আমাদের এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। তবে শেখ হাসিনার সরকারের ইচ্ছা হিলো স্থানীয় সরকারের কাঠামোটা এ বছরই ঠিক করা।
 
আলোচনায় সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইদুজ্জামান, ড. রেহমান সোবহান, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, ড. খলিকুজ্জমান, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, খন্দকার বজলুর রহমান প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, আলোচনায় সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইদুজ্জামান ব্যাংক ও শেয়ারবাজারের প্রতি নজর দিতে বলেছেন। তিনি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতিও গুরুত্ব আরোপ করেন। ড. খলিকুজ্জমান বাজেটে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলেছেন। হতদরিদ্রদের প্রতিও নজর দিতে বলেছেন তিনি।
 
‌আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ঋণ নিচ্ছি কিন্তু মূলধনী বিনিয়োগ হচ্ছে না। এর উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের উচ্চ মূলধনী বিনিয়োগ রয়েছে।
 
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী শিক্ষা খাতে গুরুত্ব দিতে বলেন। তিনি মেট্রো রেলের বিষিয়েও কথা বলেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
 
আলোচনায় প্রায় সকল অর্থনীতিবিদ অভিযোগ করেন, পিপিতে পাবলিক বিনিয়োগ দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষায় সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ক্ষুদ্র কৃষকরা এর বাইরে রয়ে গেছেন। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও বাইরে রয়েছেন।
 
পদ্মা সেতুর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর সবকিছুই যমুনা সেতুর মতো। পদ্মা ও যমুনা সেতুর মধ্যে শুধু পার্থক্য হলো যমুনায় বিদেশি বিনিয়োগ ছিলো। আর পদ্মা সেতুতে বিদেশি বিনিয়োগ নেই।
 
ক্ষুদ্র ঋণের বিষয়ে মুহিত বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ এখন আর ক্ষুদ্র ঋণ নেই। এটা এসএমই হয়ে গেছে। ক্ষুদ্র ঋণের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত। যেসব ঋণ ৫ লাখ টাকার নিচে শুধু সেগুলোই ক্ষুদ্র ঋণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
 
** গ্যাস-বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষমতা পাবে বিনিয়োগ বোর্ড

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
আইএইচ/এএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।