বাগেরহাট: বাংলাদেশ-ভারত নৌবাণিজ্য প্রটোকলভুক্ত মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের খনন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে এ নৌপথটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।
বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে মংলা ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল খনন কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক কারণে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে এ রুট দিয়ে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নৌচলাচল করছে।
জুনের মধ্যে খনন কাজ শেষে চ্যানেলটি চালু এবং প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ শেষে ২০১৬ সালের মধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দরে জাহাজ ভিড়তে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শাহ আলম সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ল ম আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন, পরিচালক (পরিকল্পনা) মাহামুদ হাসান সেলিম, পরিচালক (নৌপথ) মোহাম্মদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক (গণসংযোগ) রফিকুল ইসলাম, সদস্য প্রকৌশল মফিজুল হক ও বাগেরহাটের পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা।
মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী মংলা- ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ রুটের খনন কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবির পর নাব্যতা হারানো মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খননের ম্যাধমে আবারও চালুর দাবি ওঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
এসএইচ/