ঢাকা: নারীদের মতামত প্রকাশের জন্য একটি সাধারণ প্লাটফর্ম দাঁড় করানোর মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রোববার (১২ এপ্রিল) যাত্রা শুরু করলো মোনালিসা উইমেন্স ক্লাব।
আর এ মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের বিখ্যাত ব্রান্ড ‘মোনালিসা স্যানিটারি ন্যাপকিন’।
‘মোনালিসা উইমেন্স ক্লাবের’ যাত্রা শুরু উপলক্ষে রোববার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের টিস্যু এন্ড হাইজিন ডিভিশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা মোনালিসা উইমেন্স ক্লাবের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
তারা জানান, নতুন মোড়কে উন্নত মানের মোনলিসা স্যানিটারি ন্যাপকিনের পুনঃযাত্রা শুরুর প্রাক্কালে মোনালিসা ব্রান্ড প্রতিষ্ঠা করছে ‘মোনালিসা উইমেন্স ক্লাব’। যেখানে নারীরা তাদের মতামত ব্যক্ত করার জন্য একটি সাধারণ প্লাটফর্ম পাবেন। পাবেন চিন্তা-চেতনা শেয়ার করার সুযোগ এবং নারীত্বকে উদযাপন করার প্লাটফর্ম।
এ ছাড়া মোনালিসা উইমেন্স ক্লাব নারীদের নানাবিধ সমস্যার সঠিক সমাধানের লক্ষে কাজ করে যাবে। নারী সমাজকে একটি কমিউনিটিভুক্ত করতে এবং তাদের অবস্থানকে আরো মজবুত করতে উদযাপন করবে বিশেষ বিশেষ দিন ও সময়কে। ক্লাবের সব সদস্য নারী হওয়ায় প্রত্যেকেই অবলীলায় তাদের মনের কথাগুলো ব্যক্ত করতে পারবেন।
বাংলাদেশের পূর্ণবয়স্ক যে কোনো নারী সরাসরি অথবা অনলাইনে ফরম পূরণ করে মোনালিসা উইমেন্স ক্লাবের সদস্য হতে পারবেন।
এরই মধ্যে www.facebook.com/Monalisa.WC নামে ফেইসবুক পাতা এবং WWW. Monalisa.com নামে ওয়েব পোর্টাল খোলা হয়েছে।
মিট দ্যা প্রেসে আরো জানানো হয়, ২০০৪ সাল হতে নারীদের স্বাস্থ্য সেবা ও হাইজিন ব্যবস্থাপনায় মোনালিসা নিরলসভাবে কাজ করছে। নতুন মোড়কে ‘মোনালিসা’ ব্রান্ডের যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে আসছে তা আরো উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত। মিট দ্যা প্রেসে আরো জানানো হয়, ২০০৪ সাল হতে নারীদের স্বাস্থ্য সেবা ও হাইজিন ব্যবস্থাপনায় মোনালিসা নিরলসভাবে কাজ করছে। নতুন মোড়কে ‘মোনালিসা’ ব্রান্ডের যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে আসছে তা আরো উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত।
অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের টিস্যু অ্যান্ড হাইজিন ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার (সেলস) মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, উন্নত বিশ্বে শতকরা ৯০ ভাগ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে ব্যবহার করেন ১০ ভাগ নারী। সে কারণেই বাংলাদেশের নারীদের মধ্যে জরায়ু ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি।
যেহেতু মিনিস্ট্রিশনের সময় বাংলাদেশের নারীরা হাইজেনিক ন্যাপকিন ব্যবহার না করে নোংরা কাপড় ব্যবহার করেন সেহেতু অন্যদেশের তুলনায় আমাদের দেশে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। মোনালিসা উইমেন্স ক্লাব সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ ব্যাপারে নারীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারণামূলক কাজ করবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোনালিসা’র ব্রান্ড ম্যানেজার মো. রবিউল আলম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের টিস্যু অ্যান্ড হাইজিন ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার (এঅ্যান্ডএফ) মির্জা মুজাহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৫
এজেড/ আরআই