ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষি উন্নয়নে ‍১৩৭৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫
কৃষি উন্নয়নে ‍১৩৭৫ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষি আয় বহুম‍ুখীকরণের মাধ্যমে জাতীয় কৃষির সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

প্রান্তিক কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নের এই উদ্যোগে ১৭ দশমিক ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক।

বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় হাজার ৩৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সমপরিমাণ।
 
বিশ্বব্যাংক ‘ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রামের (এনএটিপি-২) আওতায় এই ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে।
 
বিশ্বব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মেহরিন-ই- মাহবুব বাংলানিউজকে বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত ১৭ দশমিক ৬০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। কৃষিতে আয় বহুমুখীকরণের মাধ্যমে জাতীয় কৃষির সামগ্রিক কৃষি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি ও গবেষণা সম্প্রসারণ করা হবে। ’
 
‘দ্রুত সময়ের মধ্যে ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে নেগোসিয়েশন হবে এর পরেই ঋণ চুক্তি।
 
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কর্মসূচির আওতায় নেগোসিয়েশনের জন্য  ইআরডি অতিরিক্তি সচিব কাজী সফিকুল আযমকে সভাপতি করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি প্রতিনিধিদল গঠন কর‍া হয়েছে।

প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হলেন অর্থ বিভাগের যুগ্ম-সচিব ড.কৃষ্ণা গায়েন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের যুগ্ম-সচিব আলী নূর, প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় প্রমুখ।

ইআরডি সূত্র আরো জানায়, কর্মসূচির আওতায় নানা ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও ফলপ্রসু পদ্ধতি গড়ে তোলা হবে। যাতে করে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যায়। এসব লক্ষ্য ‍অর্জনে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে। এর মধ্যে অন্যতম কৃষকের চাহিদাভিত্তিক অশগ্রহণমূলক উচ্চ অগ্রাধিকার সম্পন্ন গবেষণা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
 
এছাড়াও বিকেন্দ্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও কৃষকের চাহিদা ভিত্ত্বিক জ্ঞাননির্ভর সম্প্রসারণ সেবার কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলা। কৃষি পণ্যের ফলনোত্তর সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন। সর্বশেষ কৃষি সম্প্রসারণ ও সরবরাহ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ জোরদারকরণের জন্য সংস্কার করা।
 
নানা কারণে কৃষি খাতের আওতায় বিশ্বব্যাংকের ঋণে মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নয়নের লক্ষে গবেষণা সম্প্রসারণ ও সাপ্লাই চেইন শক্তিশালীকরণের উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় মহাপরিকল্পনা। এনএটিপি-১ শীর্ষক প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে শেষ হয়েছে।

এর পরেই এনএটিপি-২ হাতে নেওয়া হচ্ছে। যাতে ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ)।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৫
এমআইএস/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।