ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনার সবজি ও নিত্যপণ্যের বাজারে বৈশাখী উত্তাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
খুলনার সবজি ও নিত্যপণ্যের বাজারে বৈশাখী উত্তাপ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: গত তিন মাসের রাজনৈতিক সহিংসতা ও অচলাবস্থার অবসান হলেও খুলনার সবজি ও নিত্যপণ্যের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বৈশাখের উত্তাপের মতোই বাজারে প্রতিটি পন্যের দাম চড়া।



শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে নগরীর নতুন বাজার ও শামসুর রহমান রোডস্থ কাঁচাবাজার ঘুরে এমনটাই দেখো গেলো।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রকার সবজির দাম অবরোধ-হরতালের সময়ের চেয়ে না কমে বরং কোনো কোনোটার বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরোল ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা,  করলা ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, কচুরলতি ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ ২০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

শাকের দামও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই দেখা গেলো। প্রতি আঁটি লাউ শাক ২০ টাকা, পুঁই শাক ১৫-২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে মুদিপণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল আছে। এসবের মধ্যে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮৫-৯০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ৪০-৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা ও ছোলা ৫০-৫৫ টাকা।

প্রতি কেজি খোলা চিনি ৪০-৪২ টাকা, প্যাকেট চিনি ৪৮-৫০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ৩২ টাকা, প্যাকেট আটা প্রতি দুই কেজি ৬৮-৭০ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা ও প্রতি পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৪৮৫-৪৯০ টাকা দরে।

মাছের উত্তাপ বেশ ভালোই টের পাওয়া গেলো। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি মাঝারি ইলিশ ১০০০ টাকা, বড় ইলিশ ২৫০০ টাকা, রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩০০ টাকা, বাগদা ৫০০-৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০-১৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৫০ টাকা, বাটা মাছ ১৬০-২০০ টাকা, শিং ৪৫০-৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ টাকা, দেশি কৈ ৬০০-৬৫০ টাকা, শৌল মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৫৫০ টাকা, সর পুঁটি ১৫০ টাকা, মলা ৩০০-৩৫০ টাকা ও বোয়াল ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা ও ইরি ধানের চাল বিক্রি করছেন ৩৫-৩৭ টাকা দরে। নাজির শাইল ৫০-৫৪ টাকা, মিনিকেট ৪৮-৫২ টাকা এবং লতা ৩৮-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারিভোগ প্রতি কেজি ৭৪-৭৫ টাকা, খোলা কালো জিরা চাল ৮০-৮৩ টাকা ও প্যাকেটজাত প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে।
নতুনবাজার বাজারে আসা বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, হরতাল-অবরোধ নেই তারপরও দাম আগের মতো। ক্ষোভ নিয়ে তিনি বলেন, বাজারে পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে উঠানামা করছে। একবার বাড়লে আর কমতে চায় না। বাজারে সবজির যে প্রাচুর্য দেখছি, তাতে দাম আরও কমা উচিত। কিন্তু কমছে কই?

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতকালীন সবজি শেষ, গ্রীষ্মকালীন সবজি পুরোপুরি না আসায় দাম কিছুটা বেশি।

নতুন বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, পাইকাররা দাম বেশি রাখায় আমাদেরও বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৫
এমআরএম/এএস/আরএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।