ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে শুল্ক-অশুল্ক যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করার জন্য রাজনৈতিক নানামুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তার সঙ্গে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও উঠে আসে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার ইন বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ট্রেড- অ্যাড্রেসিং এসপিএস ইস্যু অ্যান্ড কনসার্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ মত দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার্স অব কমার্সের বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-এক্সপোর্ট) তানভীর ইসলাম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট খালেদা আকতার।
মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ভারত বাংলাদেশে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করে। অথচ বাংলাদেশ মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্যে ভারতে রফতানি করে। দু’দেশের রফতানি বাণিজ্যের এ ফারাক কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য দুই দেশকে বসে আলোচনার মাধ্যমে তাদের করণীয় ঠিক করতে হবে।
তিনি বলেন, কত ডলারের রফতানি হলো এর চেয়ে বড় কথা দুইদেশ সমান সুযোগ পেল কিনা।
ভারতের প্রাণের পণ্যে রফতানির অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তানভীন ইসলাম জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিনই কয়েকটি পথে পণ্যে ভারতে যায়। পণ্যেগুলো যে বন্দরের মাধ্যমেই রফতানি করা হোক তা কলকাতার সেন্টার ফুড ল্যাবরেটরিতে (সিএফএল) পরীক্ষা করাতে হয়। সামগ্রিক প্রক্রিয়া শেষ করতে ১০-১৫ দিন লেগে যায়। রফতানির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, আমরা পৃথিবীর ১০০টির বেশি দেশে পণ্য রফতানি করি। শুধুমাত্র ভারতই আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্যের বিস্তারিত ঠিকানা চায়। ফলে আমাদের দুই রকম প্যাকেজিং করতে হয়। এটাকেও বড় হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
মোস্তাফিজুর রহমান, ভারত যে পরিমাণ রফতানি পণ্যে অন্য দেশ থেকে আমদানি করে তার মাত্র ১ হাজার ভাগের ১ ভাগ আমরা ভারতে রফতানি করি। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারতের বড় বাজার আমাদের ধরতে হবে।
একটি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার (এনজিও) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রাহিম দেশের খাদ্যের মান সম্পর্কে বলেন, বিদেশে কেন দেশেই খাদ্যের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। আমরা নিজেরাই আমাদের খাদ্যের মান নিয়ে চিন্তিত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
কেজেড/কেএইচ/