ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প

সংযোগ সড়ক- দীর্ঘ সেতুতেই ব্যয় ৬০৭ কোটি টাকা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
সংযোগ সড়ক- দীর্ঘ সেতুতেই ব্যয় ৬০৭ কোটি টাকা

ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প ‘মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প’। এর মোট ব্যয় ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

এ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে ৬০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রয়েছে সংযোগ সড়ক ও দীর্ঘ সেতু নির্মাণ কাজ।
 
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি তহবিল ও জাইকার ঋণ থেকে প্রকল্প ব্যয় মেটানো হবে। সরকারি খাত থেকে আসবে ১০২ কোটি ৬৭ লাখ ও জাইকার ঋণ ৫০৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
 
জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ মেয়াদে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নে এ বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
 
প্রকল্পের আওতায় চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ৬৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর পাশাপাশি রয়েছে প্রকল্প এলাকায় ৬৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ।
 
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নানা ধরনের অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন ও যন্ত্রপাতি কেনা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৩৫ দশমিক ৭১ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
 
সড়ক ,সেতু, জেটি ও পুরনো সড়ক মেরামত করা হবে। কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাও প্রকল্পের আওতায় মেটানো হবে।
 
প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা সরকারি ব্যয়ে ৪টি জিপ, চারটি পিকআপ, ৫টি মোটরসাইকেল ও একটি স্পিডবোট কেনা হবে।
 
পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের জন্য প্রকল্পের ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প-সংক্রান্ত প্রস্তাব) পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।   কর্মকর্তাদের বেতন ও সুপারভিশন কনসালটেন্ট বাবদ রাখা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা।
 
ক্যামেরা, কম্পিউটার, অফিস যন্ত্রপাতি ও ফার্নিচারসহ অন্যান্য ইউটিলিটি বাবদ রাখা হয়েছে ৫ কোটি টাকা।
 
সড়ক বিভাগের সচিব এমএন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, মাতারবাড়ি কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন, সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা ও প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভা করবে। আশা করছি, এরপর প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পাবে। প্রকল্পের প্রস্তাব অনেক আগেই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
 
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নানা ধরনের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে প্রকল্পটির প্রস্তাবনা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। মাতারবাড়ি প্রকল্পের অধীনে মহেশখালির মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ৬শ’ মেগাওয়াট করে মোট ১২শ’ মেগাওয়াটের দু’টি আলট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণ করা হবে। এতে প্রচুর পরিমাণ দেশি ও বিদেশি কয়লা ব্যবহার করা হবে। কয়লা পরিবহনের জন্যও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
 
প্রকল্পটির মাধ্যমে কয়লা ওঠানোর জন্য বন্দর ও পোতাশ্রয় নির্মাণ করা হবে। এছাড়া মাতারবাড়ি থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত ৪০০ কেভি ট্রান্সমিটার লাইন নির্মাণ করা হবে। কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য একটি সংযোগ সড়ক ও সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
 
সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, কয়লাভিত্তিক  বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে নিরাপদ ও নিরবিচ্ছন্ন যোগাযোগ স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত সংযোগ সড়কটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সড়কটি হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সব ধরনের যান চলাচল সহজতর হবে।

সড়কটি মহেশখালী দ্বীপের মাতারবাড়ি এলাকা ও চট্রগ্রাম-কক্সবাজার-টেকনাফ জাতীয় মহাসড়ককে একতাবাজার নামক স্থানে সংযোগ করবে। এছাড়াও এই সড়কটি প্রস্তাবিত মেরিন (মিরেশ্বরাই থেকে কক্সবাজার) সড়কের সঙ্গে বাদরখালী নামক স্থানে মিলিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
এমআইএস/আরএম/এনএস/

** মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, শুরুতেই ক্ষতিপূরণে ঘাপলা!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।