ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থপাচার রোধে ৫ ব্যাংকের কার্যক্রমে অসন্তোষ

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
অর্থপাচার রোধে ৫ ব্যাংকের কার্যক্রমে অসন্তোষ

ঢাকা: অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধে কার্যকর ভুমিকা রাখতে না পারায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট(বিএফআইইউ) সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকে পরিদর্শন করে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন রোধ সন্তোষজনক কার্যক্রম দেখতে পায়নি।



জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) প্রদীপ কুমার দত্ত বাংলানিউজকে বলেন, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আমাদের প্রয়োজনীয় জনবল নেই। এ কাজের জন্য প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি শাখায় একটি করে আলাদা বিভাগ থাকলেও সেখানে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। তবে একেবারে থেমে আছে এটা বলা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট দেশে কার্যরত সকল ব্যাংকগুলোতে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন রোধ কার্যক্রম পরিদর্শন করে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ৫টি ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে পরিদর্শকদের মুল্যায়নে অন্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় কোনো অগ্রগতি নেই। এ্র কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন কার্যক্রমের অগ্রগতির নির্দেশ দিয়েছে।
 
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের জন্য ২০১৫ সালের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ও পরিকল্পনা জমা দিতে ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ইউনিট।
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বলেন, সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম অগ্রগতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়ে গেছে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২৫৭টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন(এসটিআর) পাঠিয়েছে, যা এর আগের ২মাসে ছিল ১৪৮টি।

দেশে কার্যরত সকল ব্যাংকগুলোর মধ্যে আমানত, ঋণ, মোট শাখা ও মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক হয় রাষ্ট্র মালিকানাধীন এই ৫ ব্যাংকের মাধ্যমে পারিচালিত হলেও এসব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নগদ লেনদেন(সিটিআর) ও সন্দেহজনক লেনদেন(এসটিআর) প্রতিবেদন অন্য ব্যাংকগুলোর তুলনায় কম জমা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
এসই/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।