ঢাকা: দেশের দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে আউশ ধান চাষের জন্য ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। এর মধ্যে উপশী আউশ ধান চাষের জন্য ২৪ কোটি ৭০ লাখ এবং নেরিকা চাষের জন্য প্রণোদনা দেওয়া হবে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, উপশী আউশ চাষ বাড়ানোর জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৪৮ জেলায় দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে এক বিঘা করে মোট দুই লাখ ১০ হাজার বিঘা জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
এরমধ্যে ৪৮ জেলায় উপশী আউশ চাষের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার কৃষককে ১ লাখ ৮০ হাজার বিঘা জমি এবং ৩৭ জেলায় নেরিকা জাতের আউশ ধান চাষের জন্য ৩০ হাজার জন কৃষককে জনপ্রতি এক বিঘা করে ৩০ হাজার বিঘা জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
উপশী আউশের ক্ষেত্রে মাথা পিছু প্রণোদনা দেওয়া হবে এক হাজার ৩৫০ হাজার টাকা এবং নেরিকা আবাদের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৭০ টাকার সার ও বীজ দেওয়া হবে।
এর মধ্যে উপশী ও নেরিকা চাষে উভয় ক্ষেতে সেচ সহায়তার জন্য জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
উপশী আউশ চাষের ক্ষেত্রে জনপ্রতি কৃষকে পাঁচ কেজি বীজ এবং নেরিকা চাষের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ দেওয়া হবে। এছাড়া, উভয় ধরণের আউশ চাষের জন্য জনপ্রতি ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি এমওপি এবং ১০ কেজি ডিএমপি সার দেওয়া হবে।
উপশী আউশ ও নেরিকা জাতের ধান চাষের জন্য নগদ অর্থসহ এ প্রণোদনার অর্থ দাঁড়াবে ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
মতিয়া চৌধুরী জানান, এই প্রণোদনায় প্রত্যাশিত সুফল হচ্ছে- অতিরিক্ত ৭০ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যার মূল্য ২২৪ কোটি টাকা। আর খড়ের মূল্য হবে সাত কোটি টাকা। চাল ও খড়ের মূল্যসহ প্রত্যাশিত সুফল দাঁড়াবে ২৩১ কোটি টাকা। যার আয় ও ব্যয়ের অনুপাত হবে ১ ঃ ৮।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আউশ ধান হচ্ছে আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই স্বাভাবিক দানাদার ফসল। সামান্য সেচেই আউশ ধান উৎপাদন সম্ভব। আউশ উৎপাদনে খরচ কম। গম বা অন্য রবি ফসল কাটার পর জমি ফেলে না রেখে আউশ আবাদ করা যায়। এসব কারণে আবাদ বৃদ্ধির প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, এ বছর প্রণোদনা কার্যক্রম নির্বাচনে সাম্প্রতিক শিলা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২১টি জেলায় উপশী আউশ ও নেরিকা আবাদ করার জন্য প্রস্তাব করা হয়।
প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি মনোনীত উপজেলা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সদস্যের উপস্থিতিতে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির অনুমোদনের পর উপজেলা সদর থেকে সংশ্লিষ্ট কৃষকের ছবি সম্বলিত মাস্টার রোলের মাধ্যমে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ প্রণোদনা ও উপকরণ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হবে।
উপশী আউশ ও নেরিকা চাষের ক্ষেত্রে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫/আপডেট ১৬১১ ঘণ্টা
এসএমএ/এইচএ/