ঢাকা: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তাসহ ৪ কর্মকর্তার বক্তব্য নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার(২১ এপ্রিল’২০১৫) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক জুলফিকার আলী অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য নিয়েছেন।
ওয়াহিদুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে ৩টি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ১৫২ কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ দেয় কৃষি ব্যাংকের বনানী শাখা।
কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ঘটনায় তলবকৃত ব্যাংক কর্মকর্তারা ওই সময় মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ছিল। তাই তাদের ঘটনাকালীন সময়ের পদ অনুসারে তলব করা হয়েছে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তারা হলেন-কৃষি ব্যাংকের বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক ঊর্ধ্বতন মূখ্য কর্মকর্তা এ কে এম ফেরদৌস আলম, ঢাকার আশুলিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইয়াকুব আলী, উত্তরা শাখার শাখার মো. আলী আশরাফ ও যশোর জেলার প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক প্রনীল কুমার মন্ডল।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী ওয়াহিদুর রহমান বিভিন্ন সময় দেশের ৪টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নামে-বেনামে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে বেসিক ব্যাংক থেকে ৭৬৭ কোটি টাকা, ইসলামিক আইসিবি ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১৫২ কোটি, সিটি ব্যাংক থেকে ৬ কোটি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি থেকে ২কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এর বেশিরভাগ টাকাই তিনি ঋণ নিয়েছেন ভুয়া ও বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে। ব্যাংকের ঋণের নথিতে উল্লিখিত ঠিকানার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সময়ের অনুসন্ধানে এ সব তথ্য বেরিয়ে আসলে পরবর্তী সময়ে দুদক তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৫
এডিএ/এনএস/