ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জার্মানিতে রপ্তানির জন্য পানিতে ভাসলো ২ টি জাহাজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১০
জার্মানিতে রপ্তানির জন্য পানিতে ভাসলো ২ টি জাহাজ

চট্টগ্রাম: জার্মানিতে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশে নির্মিত প্রায় পাঁচ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার দু’টি জাহাজ বুধবার পানিতে ভাসানো হয়েছে।

‘ইএমএস সী’ ও ‘ইএমএস রিভার’ নামের জাহাজ দু’টি নির্মান করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড।



জাহাজ দুটি কার্গো ও কন্টেইনার পরিবহন ব্যবহারের করতে সক্ষম বলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন।
 
তিনি আরো জানান, ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ‘ইএমএস সী’ ও ‘ইএমএস রিভার’ বাংলাদেশী কোন জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তৈরি এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় জাহাজ। এটি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য একটি মাইলফলক বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড জার্মানি, ডেনমার্ক, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ থেকে জাহাজ নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁওয়ে এলাকায় অবস্থিত ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড থেকে জাহাজ দু’টি কর্ণফুলী নদীতে পরীক্ষামূলকভাবে পানিতে ভাসানো হয়।

এ উপলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জামার্নীর গ্রোনা শিপিংয়ের ফিট ম্যানেজার মারকু ভেড্ডার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, ইস্ট উইন্ডের হেনস উলরিক, বিদেশি ব্যবসায়ী এবং জার্মানিশিয়্যর লয়েডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিদেশি জাহাজ মালিকদের জন্য এ ধরনের বৃহৎ আকারের জাহাজ নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি সফল জাহাজ নির্মাণকারী দেশ হিসেবে নিজেদের নাম   অন্তর্ভূক্ত করেছে। এর মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিতে চাই খুব শিগগিরই ভারী শিল্প সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিজেদের পরিচিত করতে পারবে। ’

জানা গেছে, ওয়েষ্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড ২০০৮ সালে জার্মানীর গ্রোনা শিপিং কোম্পানির কাছ থেকে ৫ হাজার ২০০ টন ধারণ মতার ১২ টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।

২০১২ সালের মধ্যে এসব জাহাজ তাদের কাছে হস্তান্তরের কথা রয়েছে।

জার্মানিশিয়্যর লয়েডের তত্বাবধানে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে তৈরি হওয়া জাহাজগুলো আটলান্টিক এবং বাাল্টিক সাগরের প্রতিকূল আবহাওয়া এবং তাপমাত্রায় স্বাচ্ছন্দে চলতে পারবে বলেও জানান শাখাওয়াত হোসেন।

বাংলাদেশ সময় ০৯১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।