ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশের এসএমই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশের এসএমই ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, উন্নয়নের সুযোগ দিলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ব্যবসায় চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশের এসএমই খাত।  

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল’২০১৫) দুপুরে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ আয়োজিত ‘দক্ষিণ এশিয়ার এসএমই উন্নয়নে বিদ্যমান পলিসি কতটুকু সহায়ক’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।



তিনিবলেন, এজন্য ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান ব্যবস্থা সহজ করা এবং বহুমুখী পেমেন্ট প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। এছাড়া সরকারকে গ্রহণযোগ্য পলিসি বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এসএমই একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। দেশব্যাপী এ খাতের মাধ্যমে ৪ মিলিয়ন নারী কাজ করছেন।

সাইদুজ্জামানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সিপিডির নির্বাহী ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষক তৌফিকুল ইসলাম খান ও গর্ভনেন্স ইনস্টিটউটস নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনালের(গিনি) সাবিহ হায়দার।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ বলেন, অসাধারণ করদাতা ৯০শতাংশ, সাধারণ করদাতা ১০শতাংশ। অসাধারণ করদাতারা সবসময় এনবিআরকে অবহেলা করে। সাধারণ করদাতারা কর দেয়। এ কারণে আইনের যত প্রয়োগ তাদের উপরই করা হয়। কর্পোরেট কর কমানো হলে আদায় বেশি হবে।

আইনের সংশোধন করে ছোট ও বড় করদাতাদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা করা গেলে আদায় বেশি করা যাবে।

এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ বলেন, প্রতিবেশী দুলগুলোতে এসএমইর জন্য নানা রকম প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমাদের দেশেও তা চালু করা উচিত।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, জিডিপিতে অবদান রাখতে ট্যাক্স আদায়ের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে নিচে। ট্যাক্স আদায় বৃদ্ধি করতে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।

সংসদ সদস্য  বেগম আক্তার জাহান বলেন, গত ৩ অর্থ বছরে ২৬ শতাংশ কর আদায় করা হয়েছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে।
 
সুশাসনের জন্য প্রচারভিযানের সুব্রত বাড়ৈই বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ট্যাক্স নির্ধারণ করতে হবে দেওয়ার উপযোগী করে।

এসএমই উদ্যোক্তা এমএস সিদ্দিকী বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের কর দেওয়ার জন্য এলাকাভিত্তিক কার্যালয় স্থাপন করা প্রয়োজন।
 
বিসিএস ট্যাক্স একাডেমির রঞ্জন কুমার ভৌমিক বলেন, কর মেলা কর আদায়ের শিক্ষার একটি অংশ। এখান থেকে কর প্রদানকারীরা নানা রকম উৎসাহ পেয়ে থাকে।
 
মেট্রো পলিট্রন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, কর দিতে গেলে খারাপ ব্যবহার করা হয়। এসব আচরণের পরিবর্তন করতে হবে।

পলিসি রিচার্স ইনস্টিটউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান হাবীব মনসুর বলেন, কর প্রদান প্রক্রিয়া অটোমেশন করতে হবে। কর্তৃপক্ষের এ ধরনের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার বালা, পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মাশিয়াল কনস্যুলার ফারাহ ফারুক, জাপান বাংলা বিজনেস চেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মিজানুর রহমান, এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা আমিনুর রহমান, কামরান রহমান, হুমায়ন কবির প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫/আপডেটেড-১৯০৫ ঘণ্টা
এসই/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।