ঢাকা: পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ আগামী অক্টোবর মাসে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আসন্ন বর্ষা ও ঈদ উপলক্ষে সড়ক সংস্কারে গঠিত মনিটরিং টিমগুলোর কার্যক্রমের অগ্রগতি ও দফতর প্রধানদের সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, সেতুর পাইলিংয়ের জন্য প্রায় আড়াই হাজার টন ওজনের হ্যামার তৈরির কাজ ইতোমধ্যে জার্মানিতে শেষ হয়েছে। ১৫ মে তা মংলা বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর টেস্ট পাইলিংয়ের কাজ চলছে। মূল নদী শাসন কাজের ড্রেজারসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। ব্লক তৈরির প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ব্লক তৈরির কাজও চলছে।
প্রকৌশলীসহ নদী শাসন কাজের টেকনিক্যাল টিম জাজিরা প্রান্তে অবস্থান করছে। অ্যাপ্রোচ সড়কের জাজিরা প্রান্তে অগ্রগতি ৪১ শতাংশ এবং মাওয়া প্রান্তে ৪৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। সার্ভিস এরিয়া-১ এবং ৩ এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, সার্ভিস এরিয়া-২ এর কাজ শেষ হয়েছে ৩২ শতাংশ।
পদ্মাসেতু ছাড়াও চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন সেতুমন্ত্রী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯২ কিলোমিটারের মধ্যে ১২৮ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ সম্পন্ন হয়েছে। ১৪টি বাইপাসের ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে ২৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৩টি সেতুর মধ্যে ২০টি সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৩৬টি কালভার্টের শতভাগ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত বাস ৠাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) গাজীপুরে বাস ডিপো নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, আগামী ১১ মে দরপত্র খোলা হবে। বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। এয়ারপোর্ট থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত বিআরটি রুটের চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এর কাজ শুরু হবে।
জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্বিতীয় কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী সেতু নির্মাণের বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের কাজ শেষে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২৭ মে দরপত্র গ্রহণের শেষ দিন। নভেম্বরে সেতু তিনটির নির্মাণকাজ শুরু হবে।
মহাসড়ক ও জেলা সড়কে ফাটল ও বড় বড় গর্ত যেন না থাকে সে জন্য বর্ষার আগেই মেরামতের কঠোর নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে খালেদা জিয়ার ওপর হামলার সঙ্গে সরকারি দলের লোকজনের নাম আসছে- এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কোনো জবাব দেননি ওবায়দুল কাদের।
তবে তিনি বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে সব দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কমিশন যদি আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কিছু লক্ষ্য করে থাকে, তবে তারা তদন্ত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলতে পারে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানে সরকার সব রকম সহায়তা দেবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবাল, মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দফতর ও মনিটরিং টিমের প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৫/আপডেট ২১০৮ ঘণ্টা
এমআইএইচ/আরএম/এইচএ/