ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, তাত্ত্বিক দিক দিয়ে সব কিছু বিবেচনা করলে হবে না। বাস্তবতার নিরিখে দেখতে হবে।
রোববার(২৬ এপ্রিল’২০১৫) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘স্টেট অব ইকোনমি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের কতিপয় অর্থনীতিবিদদের সমালোচনা করে তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, কিছু কিছু অর্থনীতিবিদ জিডিপি নিয়ে মন্তব্য করলে পেপারে ব্যানার সহকারে ছাঁপানো হয়। অথচ নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যখন বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ইতিবাচক বলেন তা ব্যানার সহকারে ছাঁপানো হয় না। ’
তিনি আরও বলেন, জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি কত হলো এটা বড় কথা নয় মানুষের জীবন মানের কেমন উন্নতি হয়েছে সেটা দেখতে হবে। ২০০৯ সালে দেশের ৪৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেত বর্তমানে এর হার ৭০ ভাগ। পর্যায়ক্রমে দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। দেশে নারীদের ক্ষমতায়ন বেড়েছে। দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ত্বের কারণে। ’
তিনি আরও বলেন, আমরা অনেক দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছি। আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। সামনে আরও ভালো করতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবনের অনেক উন্নতি হয়েছে। ’
নগরীর উন্নতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা শহরের বড় বড় প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বাস্তবায়িত হয়েছে।
বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি যখন ১৯৮৯ সালে যুগ্মসচিব ছিলাম তখন আমাদের এক টাকাও রিজার্ভ ছিল না। বর্তমানে ৩৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। ঢাকা শহরে আমি বড় হয়েছি আগের তুলনায় এখানে অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু জিডিপির সাড়ে ৬ প্রবৃদ্ধির ডুগডুবি বাজালে হবে না। সব কিছু বাস্তবতায় বিবেচনা করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন, বিআইডিএস এর সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন আহমেদ, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর অথিরিটির(ডিটিসিএ)নির্বাহী পরিচালক কায়কোবাদ হোসেন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৫
এমআইএস/এনএস/