ঢাকা: বেসরকারি খাতের সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের(এসআইবিএল) চেয়ারম্যান মেজর(অব.) মো. রেজাউল হক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ,দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ফেডারেশনের সভাপতি মো. লুৎফুল গণি টিটু স্বাক্ষরিত অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও ডিজিএফআইর মহাপরিচালককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
দুদকে দেওয়া ওই অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ব্যাংকটি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুর্নীতির রাহু গ্রাসে নাজুক অবস্থায় পড়েছে।
আর্র্থিক সুবিধা নিয়ে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, গুলশান, বনানী, নিউ ইস্কাটন, ধানমন্ডি, আগ্রাবাদ, জুবলী রোড শাখা থেকে নামমাত্র জামানত নিয়ে কোটি কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং নীতি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিদের্শনার তোয়াক্কা করা হয়নি। এক বছরের ঋণের প্রবৃদ্ধি দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, টাকার বিনিময়ে ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বহু কর্মকর্তা, কর্মচারীকে। বিভিন্ন বিলের ভাউচার, সাইনবোর্ড তৈরি, বিজ্ঞাপন ও প্রভৃতি খাতে ভুয়া বিল তৈরি করে আত্মসাত করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা করা হয়েছে ঢাকার পরিবর্তে সিলেটে। দলীয় ক্যাডারদের পাহারার কারণে সভায় ঢুকতে পারেনি সাধারণ শেয়ার হোল্ডারগণ।
ব্যাংকটির ধংসের হাত থেকে রক্ষা করতে উল্লেখ অনিয়মগুলো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা যত ঋণ দিয়েছি নিয়ম কানুন মেনে। কোনো অনিয়ম করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৫
এসই/এনএস/