খুলনা: মে মাসের শুরুতেই খুলনায় সবজি ও চালের দাম কমায় স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে লোকসান গুনতে হবে।
ছুটির দিন শুক্রবার (০১ মে) নগরের নতুন বাজার, বড় বাজার ও ময়লাপোতা বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
নগরের বড় বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, তারা প্রতি কেজি কালোজিরা চাল ৬৬ টাকা, কাটারিভোগ ৪০ টাকা, বাঁশমতি ৫২ টাকা, নাজির শাইল ৫০ টাকা, ভাইটেল ৩৪-৩৫ টাকা, নতুন বাজারে আসা চাল ২৮ টাকা, বালাম ২৮ থেকে ২৯ টাকা ও পুরাতনটা ৩৬ টাকা ধরে বিক্রি করছেন।
এছাড়া মিনিকেট ৪৭-৪৮ টাকা, ভারতীয় এলসি বালাম ২৫-২৬ টাকা, পুরাতন পাঁচ পাতা মিনিকেট ৪০-৪১ টাকা, নতুন গাজি আতপ ১৯ টাকা ও পুরাতন ২২ টাকা, আটাস আতপ নতুন ২২ টাকা ও পুরাতন ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী লতিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে নতুন চাল আসতে শুরু করেছে। আর এ বছর ধানের ফলনও ভালো হয়েছে। এতে কমে গেছে চালের দাম।
‘কিনছি কম দামে তাই বিক্রিও করছি কমে। তবে চাষিরা ভালো দাম পাচ্ছেন না,’ যোগ করেন তিনি।
একই এলাকার কাঁচাবাজারে দেখা যায়, বিভিন্ন মৌসুমী সবজি আসতে শুরু করেছে বাজারে। তাই নানা ধরনের সবজির দাম গত মাসের তুলনায় বেশ কমেছে। বাজারে পটল প্রতি কেজি ২৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১৮ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ১০-১৫ টাকা, করলা ১৮ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ২৫ টাকা, পেঁপে ১৮ টাকা, ঢেঁড়স ২০ টাকা, বরবটি ২৫ টাকা, ঝিঙ্গা ২৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১৬ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া প্রতি আঁটি লাউ শাক ১০-১২ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০-১২ টাকা, পুঁই শাক ১২- ১৫ টাকা এবং ডাঁটা শাক বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকা দরে।
সবজি বিক্রেতা আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি দামে মালামাল বিক্রি করি। আড়ত থেকে যেমন অল্প দামে কিনতে পাচ্ছি সেভাবে বিক্রিও করছি কম দরে।
তিনি জানান, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা, দেশি রসুন ৫০-৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ৮০-৮৫ টাকা, আলু ১৫-১৮ টাকা ও আদা একশ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুলনার বিভিন্ন মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০-৮৫ টাকা, মুগ ডাল ১১০ টাকা, ছোলার ডাল ৪০ টাকা, মাসকালাই ৯০ টাকা, ছোলা ৫৫-৬০ টাকা, খোলা চিনি ৪০ টাকা, প্যাকেট চিনি ৪৮ -৫০ টাকা, খোলা আটা ৩০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬২ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজারে দেখা যায়, আকার ভেদে প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ি পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, কাতলা ২৫০ টাকা, রুই ২থেকে ২১০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১৩০টাকা, বাটা মাছ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা, দেশি কৈ ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, শৌল ৪০০ থেকে ৫০০টাকা, সরপুঁটি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বোয়াল সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং দেশি মাগুর সাড়ে ৬০০ থেকে ৭০০টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
তবে গত মাসের মতো মে-এর শুরুতেও ডিমের দামে তেমন কোনো তারতম্য দেখা যায়নি। দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩৫ টাকা ও ফার্মের ৩২ টাকা ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৩৮-৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর রূপসা নতুন বাজারের ক্রেতা মুর্শিদা মনা বাংলানিউজকে বলেন, মাসিক বাজার করি। মাসের প্রথম দিনে বাজার করতে এসে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা কমেছে।
তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক পণ্যই বেশি দামে কেনা। যেগুলো এখনও রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কিছুটা লোকসান দিতে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৫
শামীম/এসএন/ এমএ