ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে প্রণোদনা দাবি বারভিডা’র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৫
হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে প্রণোদনা দাবি বারভিডা’র

ঢাকা: হাইব্রিড গাড়িতে বিশেষ প্রণোদনা (অবচয় সুবিধা) চায় বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।

জ্বালানি সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব গাড়ি ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ দাবি করেছে সংগঠনটি।


 
শনিবার (০২ মে) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআর’র সম্মেলন কক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
 
বারবিডার সভাপতি এম এ হামিদ শরীফ বলেন, বর্তমানে পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানিসাশ্রয়ী হাইব্রিড গাড়ি বেশি মূল্যে বাজারজাত করতে হচ্ছে। যেমন, একটি ১৫০০ সিসি ভিভিটিআই ইঞ্জিনযুক্ত টয়োটা এক্সইও গাড়ির মূল্য ১৬ লাখ ইয়েন, কিন্তু ওই একই গাড়ির ক্ষেত্রে হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত হলে তার মূল্য ১৯ লাখ ইয়েন হয়। এই বর্ধিত মূল্যের কারণে এটা ক্রয়ে ক্রেতাদের মধ্যে অনীহা দেখা দেয়। যা দূর করার জন্যই প্রণোদনা দরকার।

এজন্য স্বাভাবিক ও চলমান পদ্ধতিতে এ গাড়িগুলো আমদানি করা হলে, ইয়োলো বুকে প্রদর্শিত হাইব্রিড গাড়ির মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ বিয়োজন করে শুল্কায়িত করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
 
তিনি বলেন, সরকার ২৫০০ সিসি পর্যন্ত হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দিয়ে এলেও ডিজেলচালিত গাড়ির চেয়ে বেশি দাম হওয়ায় হাইব্রিড গাড়ি ব্যবহারে ক্রেতারা তেমন উৎসাহী নন। বিশ্ববিখ্যাত মোটর গাড়ি নির্মাতারা যখন জ্বালানী সাশ্রয়, যাত্রীর নিরাপত্তা, দূষণ থেকে পরিবেশ রক্ষাসহ আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে একের পর এক নতুন ধারনার ইঞ্জিন আবিষ্কার করে অর্থকরী ও জনবান্ধব গাড়ি তৈরি করছে, তখন বাংলাদেশে এ বিষয়ে বিধিগত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
 
বারভিডা’র প্রস্তাবে এক বছর পর্যন্ত পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ, এক বছর থেকে দুই বছর পর্যন্ত পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ, দুই বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ, তিন বছর থেকে চার বছর পর্যন্ত পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ এবং চার বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশ অবচর হার নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির সংজ্ঞা ও অবচর প্রদানের উদ্দেশ্যে গাড়ির বয়স গননা পদ্ধতি সংশোধনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এছাড়া মাইক্রোবাস ছাড়া ৮৭০৩ এর অন্তর্ভুক্ত সব ধরনের মোটর গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫০০ সিসি থেকে ২০০০ সিসি পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিন্যাস করে ৪০ শতাংশ কমানো এবং পর্যটন শিল্প, অফিস ও কারখানার কর্মী পরিবহন, শিক্ষার্থী পরিবহনের মতো গণ-পরিবহনভুক্ত মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়া হয় বারবিডার পক্ষ থেকে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- এনবিআর’র সদস্য মো. ফরিদউদ্দিন (শুল্কনীতি), আয়কর নীতির সদস্য পারভেজ ইকবাল, মূসক বাস্তবায়নের সদস্য এনায়েত হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৫
এডিএ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।