ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিআইপি কার্ড পেলেন ৫৬ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৫
সিআইপি কার্ড পেলেন ৫৬ জন ছবি: নাজমুল হাসান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের অর্থনীতিতে ২০১৪ সালে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সাতটি বিভাগে ৫৬ জন বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে (সিআইপি-শিল্প) সিআইপি কার্ড দিয়েছে সরকার।
 
বৃহস্পতিবার (০৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ২০১৪ সালের সিআইপি হিসেবে নির্বাচিতদের হাতে সিআইপি কার্ড তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।


 
বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখায় ২০১২ সালের নীতিমালা অনুযায়ী এসব ব্যক্তি সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
 
সাতটি বিভাগের মধ্যে পদাধিকারবলে ১২ জন, বৃহৎ শিল্প খাতে ২৯ জন, মাঝারি শিল্প খাতে নয়জন, ক্ষুদ্র শিল্প খাতে ছয়জন, মাইক্রো শিল্প খাতে দুইজন, কুটির শিল্প খাতে একজন এবং সেবা শিল্প খাতে পাঁচজন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
 
সিআইপি কার্ডপ্রাপ্তরা এক বছরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পরিচয়পত্র পাবেন। এ পরিচয়পত্র সচিবালয়ে ঢোকার প্রবেশপত্র হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়া ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসা প্রাপ্তির সুবিধার্থে তার অনুকূলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন দেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সিআইপিরা জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার পাবেন।
 
এছাড়া স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে সিআইপিরা কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার করতে পারবেন তারা। মেয়াদকালে সরকারের শিল্প বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও পাবেন।
 
পদাধিকারবলে এ বিভাগে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এ কে আজাদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি বাংলাদেশের সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি তপন চৌধুরী, উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি নাসরীন ফাতেমা আউয়াল, বিকেএমইএ’র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামস-উজ জোহা, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট রুপালী হক চৌধুরী, ডিসিসিআই’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান ও এমসিসিআই’র সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমান।
 
বৃহৎ শিল্প: জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস হুমাদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, আবদুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মোনেম, বিআরবি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পারভেজ রহমান, সুপার রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আহমেদ, ফারিহা নিট কেক্স’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম, ইসলাম রি-রোলিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম, এম আর এস ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুর রহমান, পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা সালমান ইস্পাহানি, এনভয় টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ, কসমোপলিটন ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক তানভীর আহমেদ, ফুজি ইংক ইন্ডাস্ট্রিজের ফারহানা মোনেম, পলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জলিল, ইউনিভার্সেল জিন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন, স্কয়ার কনজ্যুমার প্রডাক্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলের চেয়ারম্যান আলী হোসাইন অকবর আলী, এসিআই ফরমুলেশনসের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা, প্যাসিফিক জিন্সের পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ফার সিরামিকসের চেয়ারম্যান খোদেজা ফরহাদ রুহী ও জেম জুট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ।
 
মাঝারি শিল্প: মেসার্স সিটাডেল অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম খান, বিডি সি-ফুডের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হায়দার চৌধুরী, অকো-টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেড এম গোলাম নবী, বিআরবি পলিমারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, জেমিনি সি ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী শাহেদ আহমেদ, বিডি ফুডসের পরিচালক মোহাম্মদ তাফহীম আল-আজমী, এটলাস সি-ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মিজানুর রহমান ও ইগল ফুডসের পরিচালক এ এস এম মঈনউদ্দিন মোনেম।
 
ক্ষুদ্র শিল্প: কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজবাউর রহমান, বেইলি ইয়ার্ন ডাইংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদ জামান, ফুটবেড ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনিরুদ্ধ কুমার রায়, করিম স্পিনিং মিলসের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, আমানত শাহ উইভিং প্রসেসিংয়ের পরিচালক লুৎফা বেগম ও টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যশোদা জীবন দেবনাথ।
 
সেবা খাত: নাভানা রিয়েল এস্টেটৈর ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম, এসটিএস হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দিন, শান্তা প্রপার্টিজের পরিচালক জেসমিন সুলতানা, নাভানা লিমিটেডের চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম ও শেলটেক (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. তৌফিক এম সেরাজ।
 
মাইক্রো শিল্প: আরএমএম লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন, এবি ফ্যাশন মেকারের স্বত্ত্বাধিকারী সানাউল হক বাবুল।
 
কুটির শিল্প: জননী উউভিং ফ্যাক্টরির স্বত্ত্বাধিকারী মো. রফিকুল ইসলাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৫
এএসএস/এসএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।