ঢাকা: এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাংস, পেঁয়াজ-রসুন ও আদার দাম তুলনামূলক বেড়েছে। তবে কমেছে চাল, চিনি ও তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম।
শুক্রবার (০৮ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র দেখা গেছে।
গুলশান-২ নম্বর ডিসিসি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, গরুসহ সব ধরনের মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়।
মাংস বিক্রেতা আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মালের (গরু ও খাসি) চালান কম, তাই দামও বাড়তি। নিচে ৩৫০ উপরে ৪০০ টাকায় মাংস বিক্রি করছি। নইলে কিছুই লাভ থাকে না। ’
ব্যবসায়ীরা জানান, শুধু গরু ও খাসিই নয়, একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। গুলশান ডিসিসি মার্কেটে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়। অথচ বৃহস্পতিবার এর দাম ছিল ১৬০ টাকা দরে।
এদিকে বাড়তে শুরু করেছে আদা ও রসুনের দাম। কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে চায়না আদা ১২০ ও দেশীয় আদা ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চায়নার রসুন ৯০ ও দেশীয় রসুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ওই মার্কেটের মেসার্স জাহাঙ্গীর স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে রসুন, আদা ও পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে। ’
দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুকামওয়ালা (পাইকারি বিক্রেতা) ভালো বলতে পারবে। তারা বাড়তি দাম রাখে, আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করি।
তবে সব ধরনের ভোজ্য তেলে লিটার প্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা কমেছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি লিটার (লুজ) ৮০ থেকে ৮২, বোতলজাত ৫ লিটার (কোম্পানি ভেদে) ৪৫০ থেকে ৫৮০ টাকা ও প্রতি লিটার (বোতল) ৯৩ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতি লিটার পাম অয়েল (লুজ) ৫৮ থেকে ৬০ এবং পাম অয়েল (সুপার) ৬২ থেকে ৬৪ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
দেশীয় ও আমদানি নির্ভর পেঁয়াজের দাম প্রতি নিয়তই বাড়ছে। শুক্রবার মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা বাজারে প্রতিকেজি দেশীয় পেঁয়াজে ৩ টাকা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারতীয় আমদানি নির্ভর পেঁয়াজে ২ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি গেছে। তবে কমেছে প্যাকেট ও খোলা চিনির দাম।
প্রতিকেজি প্যাকেট জাত চিনির দাম ৫ টাকা কমে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা থেকে ৪০ টাকায়।
এদিকে কৃষকের ঘরে নতুন ধান উঠতে শুরু করায় বাজারে সব ধরনের চালের দামে প্রভাব পড়েছে। প্রতিকেজি সরু চাল ৩৮ থেকে ৫২, সাধারণ মানের নাজির/মিনিকেট ৩৮ থেকে ৪৬ এবং উত্তম মানের নাজির/মিনিকেট ৫৬ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
আর প্রতিকেজি মোটা চালে ৪ টাকা কমে ২৮ টাকা দরে কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে প্রতিকেজি সাধারণ মানের পাইজাম-লতা ৩৬ থেকে ৪২ টাকা, উত্তম মানের পাইজাম-লতা ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর স্বর্ণা ও চায়না ইরি ৩০ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি করছেন তারা।
তবে মোটা মশুর ডাল ছাড়া অন্যান্য ডালের দাম স্থীতিশীল রয়েছে। প্রতিকেজি মোটা মশুর ডাল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, দেশীয় মশুর ডাল ১০০ থেকে ১১০, নেপালি ১১০ থেকে ১২০ ও মুগডাল মানভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ছোলা ৫৫ থেকে ৬০, অ্যাংকার ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে ছোলা বুট বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
স্থিতিশীল আছে আটা ও ময়দার দাম। প্রতিকেজি সাদা আটা (খোলা) ৩০ থেকে ৩২ ও ময়দা (খেলা) ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
আর দুই কেজি প্যাকেটজাত ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৮০ ও আটা ৬৮ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৫
এমআইএস/এমএ