ঢাকা: কৃষি খাতে ঋণ বাড়ানোর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তাগিদ, নানা উদ্যোগ থাকার পরও আশানুরুপ ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। বাড়ছে না এ খাতের ঋণ বিতরণের পরিমাণ।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে(জুলাই-মার্চ) কমেছে এ খাতে বিতরণের পরিমাণ। আর এ জন্য সরকারিখাতের ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমে যাওয়াটাই বড় কারণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ১১ হাজার ১৬৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। আগের বছরের একই সময়ে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিলো ১১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। এ হিসেবে ৯ মাসে ঋণ বিতরণ কমেছে ২৭৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা দুই দশমিক ৪৪ শতাংশ।
মার্চ পর্যন্ত বিতরণ হওয়া ঋণ চলতি অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বিতরণের হার ছিলো ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলো পুরো অর্থবছরের ৯ হাজার ২৪০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৯ মাসে ৬ হাজার ৬২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৮ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করেছিল সাত হাজার ২৭৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।
আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জন্য এবারে ৬ হাজার ৩১০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাদের বিতরণ হয়েছে ৪ হাজার ৫৩৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৫ হাজার ৬৪৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিতরণ করেছিল ৪ হাজার ১৬৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষিঋণ বিতরণ বাড়াতে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত পহেলা জানুয়ারি থেকে কৃষকরা সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে কৃষিঋণ নিতে পারছেন। আগে যেখানে সুদ দিতে হতো ১৩ শতাংশ।
গত ২১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে আমানত ও ঋণের সুদ হারের নিমুখী প্রবণতা বিবেচনায় অগ্রাধিকার খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লীঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা ১৩ শতাংশের পরিবর্তে ১১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৫
এনএস