ঢাকা: চাল আমদানিতে ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে এবং রোববার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
রোববার (১০ মে) বিকেল ৪টায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট’ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সাধারণত এ সময়ে চালের দাম কমে না। কিন্তু ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আসার কারণে চালের দাম কমে গেছে। এছাড়া আড়তদাররাও এ সময়ে পুরনো চাল বাজারে ছাড়ছে। যার ফলে কৃষকরা বিপদে আছে। তাদের রক্ষা করতে চাল আমদানিতে ১০ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে রোববার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
জাতীয় সংসদের অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, পরিকল্পনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি মোট চারটি স্থায়ী কমিটি এ সভায় অংশ নেয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শওকত চৌধুরী বলেন, চালের ওপর ১০ ভাগ নয়, আরও বেশি কর আদায় করা উচিত। কারণ দেশের বাইরে থেকে আমাদের দেশে প্রচুর চাল আসছে। ধান চাষীদের রক্ষা করতে হলে এছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুল হক টুকু বলেন, দেশে চাল আমদানির ওপর কর আরোপ খুবই ভাল উদ্যোগ। তবে এর পাশাপাশি দেশীয় কাগজ ও চিনি শিল্প বাঁচাতেও পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান বিষয়ক কমিটির সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, আরিচা ঘাটে টোল বসাতে হবে। তাহলে টোলের টাকা দিয়ে খুব সহজেই আমরা দ্বিতীয় পদ্মাসেতু তৈরি করতে পারবো। গ্রাম ও শহরে করের আওতা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি।
অর্থ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য মহিবুর রহমান মানিক বলেন, শুক্রবার হাফ অফিস ও রোববার ছুটি ঘোষণা করতে হবে। কারণ বিশ্বব্যাপী রোববার ছুটি, আমরাই কেবল উল্টো পথে চলছি।
এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৫ আপডেট সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা.
এমআইএস/এটি