ঢাকা: বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শাখা অফিস খোলার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন নেওয়ার সুযোগ রেখে একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১১ মে) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা জানান, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শাখা অফিসের জন্য বর্তমানে বিনিয়োগ বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। সংশোধিত আইনের খসড়া অনুযায়ী, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে শুধু বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন নিলেই হবে। তবে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে।
সংশোধিত আইনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার বাংলাদেশের নিবাসী (বাংলাদেশি বা বিদেশি নাগরিক) ব্যক্তিদের কাছে তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ও সিকিউরিটিজ সম্পর্কিত তথ্য এবং বিদেশে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য চাইতে পারবে।
বর্তমান আইনটি বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা না থাকলেও বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ আইনটি প্রয়োজ্য কিনা সে বিষয়ে বিদ্যমান আইনে অস্পষ্টতা রয়েছে। সংশোধিত আইনে ‘নিবাসী’র সংজ্ঞা স্পষ্ট করা হয়েছে।
সংশোধিত আইনটি বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
সংশোধিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকদের বৈদেশিক মুদ্রা ও সম্পদের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার তথ্য চাইতে পারবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বর্তমান ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেটরি আইনটি ১৯৪৭ সালের। এরপর ১৯৭৬ ও ২০০৩ সালে এটি সংশোধন করা হয়। এই আইনের বলে মুদ্রা ও মূল্যবান ধাতব মুদ্রার আমদানি-রফতানি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় আইনের খসড়াটি প্রণয়ন করেছে।
গত ১২ জানুয়ারি এ আইনের খসড়াটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫
এমআইএইচ/কেজেড