ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছাগলের তো কিছু হলো না, বললেন অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
ছাগলের তো কিছু হলো না, বললেন অর্থমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

ঢাকা: পোলট্রি ও মৎস্য উৎপাদনে সাফল্য থাকলেও গবাদি পশু উৎপাদনে তেমন সাফল্য না থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
 
আসন্ন জাতীয় বাজেটকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১২ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অর্থমন্ত্রীর কাছে কৃষকের পক্ষে ৫৭ দফা সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।



বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ‘কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট ২০১৫-১৬’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উঠে আসা কৃষকদের বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে এ সুপারিশমালা তৈরি করা হয়। কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ দাবিগুলো তুলে ধরেন।

এ সময় মাংস ও দুধ উৎপাদনে ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, পোলট্রি ও ফিশারিজে আমাদের খুবই সাকসেসফুল স্টোরি রয়েছে, কিন্তু চার পা, গবাদি পশুতে কিছু হয়নি।
 
এ সময় আসে ছাগলের প্রসঙ্গ। অর্থমন্ত্রী বলেন, ছাগলের তো কিছু হলো না।
 
উত্তরে শাইখ সিরাজ বলেন, ছাগল গাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দেনদরবার চলে। এ জন্য ছাগল পালনে হয়তো সাফল্য আসেনি। কিন্তু ভেড়া পালনে বাংলাদেশ ভালো করবে। বিভিন্ন এলাকার কৃষকের মধ্যে ভেড়া পালন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে।
 
গরু আমদানি বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গরু আসছে বয়স্ক গরু। সেগুলো জবাই করা হয়। আগামীতে বাছুর আমদানি করা যায় কি-না, তা ভাবা হচ্ছে।
 
গত তিন বছরে সহিংস রাজনীতিসহ বিভিন্ন কারণে কৃষকের ক্ষতির দিক তুলে ধরে কৃষকদের কৃষিঋণ মওকুফ কিংবা ঋণ রিসিডিউলের দাবি তুলে ধরেন শাইখ সিরাজ।
 
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ মওকুফের বিষয়ে আমরা কিছু ভাবিনি। তবে ঋণ রিসিডিউল করা যেতে পারে।
 
কৃষিঋণ যাতে প্রকৃত কৃষকরা পান, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়।

জুন মাসের (২০১৫-১৬) বাজেটকে সামনে রেখে চ্যানেল আইয়ের হৃদয়ে মাটি ও মানুষের উদ্যোগে পঞ্চগড়, টাঙ্গাইল ও খুলনায় ‘কৃষি বাজেট কৃষকের বাজেট’ অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। এসব এলাকার ১২ হাজার কৃষকের উপস্থিতিতে প্রাক-বাজেট আলোচনায় উঠে আসা প্রস্তাব, দাবি ও চাহিদার আলোকে এসব সুপারিশ তৈরি করা হয় অর্থমন্ত্রীর কাছে।
 
সুপারিশের মধ্যে ঋণগ্রস্ত ও সর্বশান্ত কৃষকের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা, কৃষিপণ্যের বাণিজ্যকৌশল নির্ধারণ, বিদ্যুৎচালিত সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ২০ শতাংশ রেয়াতের টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক হিসেবে প্রদান, ইউনিয়ন পর্যায়ে মাটি পরীক্ষা ল্যাব ও কীটতত্ত্ব ল্যাব স্থাপন, কৃষিতে উৎপাদন খরচ কমাতে আরও যন্ত্র ব্যবহার, দেশিয় চা শিল্প রক্ষা, আমদানি নীতিমালা করে ফসলি মৌসুমে আমদানিকে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি দেশি শিল্প বিকাশের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি উল্লেখযোগ্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘন্টা, মে ১২, ২০১৫
এমইউএম/এমআইএইচ/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।