ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে নতুন পণ্য আনছে মার্সেল

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
বাজারে নতুন পণ্য আনছে মার্সেল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের বাজারে শীর্ষস্থান পাওয়ার লক্ষ্যে বিপণণ কৌশলকে ঢেলে সাজিয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। পণ্যের গুণগত উচ্চমান, সাশ্রয়ী মূল্য এবং সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।



এরইমধ্যে দেশের বাজারের একটি বড় অংশ নিজেদের দখলে নিয়েছে মার্সেল। মার্কেট শেয়ার বাড়াতে নতুন ও বৈচিত্র্যময় মডেলের পণ্য নিয়ে এসেছে তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যাপক ক্রেতা চাহিদা ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার দ্রুত দখল করছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, মোটরসাইকেল, জেনারেটর, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সসহ মার্সেল ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সারাদেশে।
 
২০০৮ সালে যাত্রা শুরুর পর মাত্র কয়েক বছরে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের বাজারের একটি বড় অংশ দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্রেতা চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়ত মার্সেল ব্র্যান্ডে যুক্ত হচ্ছে নতুন মডেলের পণ্য।

গত কয়েক বছর ধরে মার্সেলের প্রবৃদ্ধি ৩০  থেকে ৩৫ শতাংশ। আর এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় চলতি বছর ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, ২০০৮ সালে মাত্র ৭টি মডেলের ফ্র্রিজ নিয়ে যাত্রা শুরু করে মার্সেল। বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫ টি মডেলের ফ্রিজ  মার্সেল বাজারে ছেড়েছে। এলইডি ও সিআরটি টিভির মডেলের সংখ্যা ৪৫টি।   আর এসি আছে ৩ মডেলের।

‘এসিতে মার্সেল ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দিচ্ছে। বাজারে মার্সেলের পৌনে এক টন, এক টন ও দেড় টনের এসি রয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

মার্সেল সূত্র জানায়, সম্প্রতি তিনটি নতুন মডেলের (৩১৭, ২৯৫ ও ২৫৪ লিটালের) রিফ্রিজারেটর বাজারে এনেছে মার্সেল। দিনদিন  মার্সেলের ডিভিডি প্লেয়ার, ইলেকট্রিক কেটলি, ব্লেন্ডার, জুসার, আয়রন, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেনসহ অন্যান্য পণ্যেরও মার্কেট শেয়ার বাড়ছে। গ্রাহক চাহিদার বিষয় মাথায় রেখে ইলেকট্রিক্যাল সুইচ, সকেট ও এলইডি লাইট উৎপাদনেরও উদ্যোগ নিয়েছে মার্সেল।

মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, মার্সেল সব সময় ফোর পি অর্থ্যাৎ প্রোডাক্ট, প্রাইস,  প্লেস ও প্রমোশনের বিষয়টি মাথায় রাখে। বিশেষ করে  দ্রুততার সঙ্গে আফটার সেলস সার্ভিস দিতে পারছে মার্সেল।

মার্সেলের দেশ জুড়ে ৭০টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মার্সেল ব্র্যান্ডের খুচরা যন্ত্রাংশ সহজেই পাওয়া যায়। এতে বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহকরা হাতের মুঠোয় সব সুবিধা পাচ্ছেন।

সারা দেশে মার্সেলের ৪৫০ জন ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে। মার্সেলের সার্ভিস সেন্টারের রয়েছে আইএসও সনদ ৯০০১:২০০৮। পণ্য সম্পর্কে যে কোনো অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য রয়েছে হট লাইন।

‘এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খুব দ্রুততম সময়ে দেশের ইলেক্ট্রনিক্স বাজারের সিংহভাগ শেয়ার নিজেদের করে নিতে সক্ষম হবে মার্সেল,’ এমনটা মনে করেন মার্সেলের বিপণন প্রধান (দক্ষিণ) মতিউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মার্সেল পণ্য যেমন গুণগত মানে সেরা তেমনি দামও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের নাগালে রয়েছে। বিশেষ করে এই শ্রেণির ক্রেতারা রঙেরও বৈচিত্র্য চান। এ কারণে একই মডেলের পণ্যের ভিন্নতা আনা হয়েছে,’ বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৫
পিআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।