ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকার এডিপি গৃহীত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকার এডিপি গৃহীত

ঢাকা: পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার বরাদ্দ রেখে আগামী অর্থবছরের (২০১৫-১৬) জন্য সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) গ্রহণ করা হয়েছে।

এ যাবতকালের সর্বোচ্চ এডিপির মধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ৫৮ হাজার কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে আসবে ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।



বৃহস্পতিবার (১৪ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি উপস্থাপন করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আ’লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর এটি চতুর্থ এনইসি সভা। এর আগে দুইবার এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয় এবং দুইবার এডিপি সংশোধিত আকারে পাস করা হয়।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী কিছু বরাদ্দ বাড়াতে পারেন বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে। এডিপির সর্বোচ্চ আকার হতে পারে ৯৬ হাজার কোটি টাকা।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার এনইসি সভায় সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকার এডিপি উপস্থাপন করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে এটি ঠিক করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদার অনুযায়ী বরাদ্দ কিছুটা বাড়াতে পারেন। কালকেই (বৃহস্পতিবার) সব কিছু ফাইনাল হয়ে যাবে। গতবারের থেকে এবার ২১ ভাগ এডিপির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ’

এডিপি’র আকার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ড. শামসুল আলম বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমরা মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি করতে চায়। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে পদ্মাসেতুর মতো বড় বড় কিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে পদ্মা সেতুসহ বড় প্রকল্প দৃশ্যমান করতে চায়। সেই জন্য এডিপির আকার বড় করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। ’

 পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন এডিপিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পদ্মা সেতুর গুরুত্ব বিবেচনায় পরিবহন খাতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ খাত পাবে ১৫ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা। নতুনভাবে আরও হাজার কোটি টাকার দাবি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে দেয়া হবে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৪৫৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

শিক্ষার প্রসার ও গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা ও ধর্ম খাতে বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৩২৫ কোটি ৫৩ লাখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৩৮ কোটি ৬৬ লাখ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১১৬ কোটি, আইন ও বিচার বিভাগে ৩২৯ কোটি ৩ লাখ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ২২০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এডিপি’তে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ৮৬ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে মূল এডিপি ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ৫ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। মূল এডিপির মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) ৫২ হাজার ৬১৫ কোটি এবং প্রকল্প সাহায্য ছিল ২৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে সংশোধন করে এডিপি কমিয়ে আনা হয় ৭৫ হাজার কোটি টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
এমআইএস/কেএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।