ঢাকা: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তরে সম্মত হয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনার বেনওয়া পিয়ের লাঘামে।
সোমবার (১৮ মে) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ সম্মতি জানান বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে উদার নীতি গ্রহণ করেছে। ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা চেয়েছে জাপান, কোরিয়া, চীন, ভারত।
এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। কানাডিয়ান উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগ্রহ দেখালে তাদের বিষয়টিও জাতীয় স্বার্থ ও সরকারের উদার বিনিয়োগনীতির সঙ্গে সমন্বয় করে বিবেচনা করা হবে, বলেন আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ শিল্প দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ইউরোপের দেশগুলোতে জাহাজ রফতানি করেছে।
এ সময় তিনি জাহাজ নির্মাণখাতে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে কানাডার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশে সিরামিক, ওষুধ, চামড়াসহ সম্ভাবনাময় শিল্পখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে কানাডিয়ান হাই কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে কানাডিয়ান হাই কমিশনার জানান, কানাডায় শিল্প কারখানার ৯০ শতাংশ এসএমই খাতের আওতাভুক্ত। উচ্চ প্রযুক্তির ফলে এসএমই খাতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ অনেক বেশি। এসএমই খাতে কানাডিয়ান প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা লাভবান হতে পারেন।
বৈঠকে ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কেএম হাবিব উল্লাহ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, বেগম আফরোজা খানসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও কানাডিয়ান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকের পর বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনিস উদ দৌলার নেতৃত্বে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাত করেন।
এ সময় তারা বীজ শিল্পের সম্ভাবনা এবং সমস্যা সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। মন্ত্রী কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে বীজ শিল্পখাতের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এএসএস/জেডএস