ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেকসই উন্নয়নে উত্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
টেকসই উন্নয়নে উত্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

ঢাকা: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে অর্থায়ন। আর বাধা দূর করতে উত্তরের দেশগুলোর সহযোগিতা চায় দক্ষিণের বিভিন্ন দেশ।



সোমবার (১৮ মে) ঢাকার একটি হোটেলে দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ত্রি-মুখী সহযোগিতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একথা বলেন।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যে সুপারিশমালা করেছন তা ‘ঢাকা ঘোষণা’ হিসেবে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা সম্পর্তিক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে দক্ষিণের দেশগুলো পিছিয়ে আছে। আর এ জন্য উত্তরের দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।

দুইদিনব্যপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মোট তিনটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হচ্ছে- টেকনোলজি সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন, নিউ অপরচ‍ুনিটি ইন সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার ফিনান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট  ও পাওয়ার্ডস মোর ইফেক্টিভ অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন। এই তিন সেশন ভিত্তি করে আরও আটটি ইমপেক্ট সেশন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিনিধিরা বলেন, দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক,পরিবেশ ও কারিগরি ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রি-মুখী সহযোগিতা একটি ব্যাপক কাঠামো।

তারা জানান, দক্ষিণের দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বি-পক্ষীয়, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা,দক্ষতা, প্রযুক্তি সহায়তা এবং আর্থিক বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা পেয়ে আসছে।

এছাড়া স্বল্পন্নত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য ও বৈদিশিক বাণিজ্য ছাড়াও আঞ্চলিক সংযোগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, প্রাকৃতিক সমস্যা সমাধানে অভিজ্ঞতা বিনিময়ও করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
জেপি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।