ঢাকা: দেওয়ান সুলতান আহমেদ। লক্ষ্মীপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসআই নির্বাচনে পরিচালক পদে লড়ছেন স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, নির্বাচনের আগেই দেওয়ান সুলতান প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীদের সঙ্গে গোপনে বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করছেন।
এনিয়ে স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদে বেশ শোরগোল চলছে। ভোটারদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে নানা কৌতূহল। ২৩ মে (শনিবার) পরিচালক পদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এরই মধ্যে প্যানেল প্রধান ও চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী বিভিন্ন জেলায় প্রচারণা ও ভোট প্রার্থনা করে প্রচারণা করছেন।
এরই মধ্যে নিজ প্যানেলের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠক বেশ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে তাকেও!
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৭ মে রাতে উন্নয়ন পরিষদ প্যানেলের এক প্রার্থীর সঙ্গে সোনারগাঁও হোটেলে গোপন বৈঠক করেন দেওয়ান সুলতান আহমদ।
ওই প্যানেলের পক্ষ থেকে সুলতানকে সহ-সভাপতি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করছে সূত্রটি।
স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলে পরিচালক নির্বাচিত হলেও সহ-সভাপতি হওয়া নিয়ে নিজের মধ্যেই সংশয় রয়েছে দেওয়ান সুলতানের। তাই নির্বাচনের আগেই পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি।
১০ মে ঢাকা যশোরে স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের মতবিনিময় সভা চলার সময় ঢাকা থেকে ফোন দেওয়া হয় দেওয়ান সুলতানকে।
এসময় তিনি কুমিল্লা চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের মাসুদ পারভেজ ইমরান খানকে নিয়ে সভা ত্যাগ করতে চান। তবে এতে রাজি হননি ইমরান। পরে বাধ্য হয়ে একাই ঢাকায় ফেরেন সুলতান।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিজ প্যানেল রেখে গোপনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের প্রার্থীর সঙ্গে গোপন বৈঠক! বিষয়টি সত্যিই প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যা নৈতিকতারও পরিপন্থি।
‘তবে এভাবে গোপনে বৈঠক করে কোন পথে হাঁটতে চাইছেন দেওয়ান সুলতান?,’ বলেন তারা।
তবে যোগাযোগ করা হলে দেওয়ান সুলতান আহমেদ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, কোমরে ব্যাথা অনুভব করায় যশোর থেকে একাই ঢাকায় ফিরে এসেছি।
‘আর অন্য প্যানেলের প্রার্থীদের সঙ্গে আমার কোনো বৈঠক হয়নি,’ দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৫
এসই/এমএ