ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খেলাপি ঋণ আদায়ে পিছিয়ে বিডিবিএল

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
খেলাপি ঋণ আদায়ে পিছিয়ে বিডিবিএল

ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে খেলাপি ঋণ আদায়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।  

খেলাপি ঋণ আদায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের চুক্তি থাকলেও বিডিবিলের সঙ্গে কোনো চুক্তি নেই।

একারণে খেলাপি ঋণ আদায়ে বেশি উদ্যোগী নয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  

ব্যাংকসূত্র জানায়, বিডিবিএল ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ ৪শ ৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে মের্সাস ঢাকা ট্রেডিং হাউসের কাছে ৭৬ কোটি টাকা, মেসার্স এমআর ট্রেডিং –এর কাছে ২৭০কোটি টাকা ও মের্সার্স মিডিয়া ইন্টারন্যাশনাল-এর কাছে  পাওনা ১শ ১০কোটি টাকা।

আর এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় হয়েছে মাত্র ৮১ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৫ দশমিক ৫০শতাংশ। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো টাকাই আদায় হয়নি। তারপরও বিডিবিএল ঋণখেলাপি তিনটি প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে প্রায় ছয়শ কোটি টাকা ঋণ দিতে যাচ্ছে।

খেলাপি ঋণ আদায়ে সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। একারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিন মাস পর পর এসব ব্যাংকের ঋণ-পরিস্থিতি জানতে চায়। আদায় কম হলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বিডিবিএল ব্যাংকের সঙ্গে এধরনের কোনো চুক্তি না থাকায়  তারা খেলাপি ঋণ আদায়ে খুব বেশি উদ্যোগী নয়।

এবিষয়ে জানতে বিডিবিএলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান খন্দকার বলেন, কোনো্ প্রতিষ্ঠানে পুরোনো ঋণ থাকা সত্ত্বেও নতুন ঋণ দেওয়ার সময় পর্ষদের সিদ্ধান্ত লাগে। কারো একক সিদ্ধান্তে ঋণ দেওয়া যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিডিবিএল ব্যাংকের ঋণ বিভাগের একজন সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) বাংলানিউজকে জানান, মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং ৪শ ৫০কোটি টাকা, মেসার্স এম আর ট্রেডিং ৪০কোটি টাকা ও মেসার্স মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালকে ১শ ২০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হচ্ছে।  

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে জমা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৪ সালে সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বেসিক ব্যাংকের ২৩ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের মধ্যে ৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আদায় হয় মাত্র ২ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে আদায়ের পরিমাণ ৫২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মু. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সরকার মালিকানাধীন সব ব্যাংককেই খেলাপি ঋণ আদায়ের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। ঋণ আদায়ে বিডিবিএলের সঙ্গে শিগগিরই চুক্তি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।