ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫৩ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫৩ শতাংশ

ঢাকা: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পগুলো (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫৩ শতাংশ।



বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার (২০ মে) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত এডিপিভুক্ত মোট ১৬টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১শ ৩৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে এপ্রিল, ২০১৫ পর্যন্ত  ৯৭ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে যা বরাদ্দ টাকার শতকরা ৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ।

একই সময়ে ৭৩ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যমানের কাজ সম্পাদিত হয়েছে যা অবমুক্ত টাকার ৭৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের দশ মাসে ১৬টি প্রকল্পে বরাদ্দের বিপরীতে আর্থিক অগ্রগতির হার গড়ে ৫২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একই সময় গত অর্থবছরের ১৫টি প্রকল্পে বরাদ্দের বিপরীতে আর্থিক গড় অগ্রগতির হার ছিলো ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এডিপিভুক্ত ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে বস্ত্র পরিদপ্তর ৮টি,  বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড ৩টি, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড ২টি, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট একটি, পাট অধিদপ্তর একটি এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বলে সভায় জানা যায়। এছাড়া বাংলদেশ টেক্সটাইল মিলস্ করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এডিপিভুক্ত ১৬টি প্রকল্পের মধ্যে চলতি অর্থবছরে চারটি প্রকল্প শেষ হবে।

সভায় জানা যায়, বর্তমানে দেশে বস্ত্র প্রকৌশলী ও বস্ত্র প্রযুক্তিবিদের চাহিদা প্রায় দেড় লাখ হলেও রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। তাই বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক বস্ত্র  প্রকৌশলী ও বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ আনতে হচ্ছে। দেশীয় বস্ত্র প্রকৌশলী ও বস্ত্র প্রযুক্তিবিদের এ শূন্যতা পূরণের লক্ষ্যে শিগগিরই আরও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে।

বস্ত্র খাতের এক্সিকিউটিভ পর্যায়ে দক্ষ বস্ত্র প্রকৌশলী সরবরাহ করার লক্ষ্যে যশোর, নেত্রকোনা, লালমনিরহাট, চাঁদপুরের শাহরাস্থি, মাদারীপুরের রাজৈর, গাইবান্ধা ও নওগাঁর মান্দায় ০৭টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং রংপুরের পীরগঞ্জ ও জামালপুরে দুটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপনের প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও সভায় জানা যায়।

এছাড়া সম্প্রতি জামালপুর ও ভোলা  টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পেয়েছে।

আরও জানা যায়, বস্ত্রশিল্পের ফ্লোর লেভেলে আরও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি এবং দেশে বেকার যুব সমাজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামীতে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, মাগুরা, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, ফেনী, বরিশাল, ভোলা, সাতক্ষীরা, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোনা, ঢাকা, রাজবাড়ী ও শরিয়তপুর জেলায় একটি করে মোট ২৪টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।

সভায় ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতির হার বাড়িয়ে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ করার জন্য প্রকল্প পরিচালকদের তাগিদ দেন এবং বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও যেসব প্রকল্প পরিচালক প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতির হার বাড়াতে পারছেন না তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবের (ডিপিপি) বাইরে কোনো কাজ করা হবে না। তাই সঠিক ও বাস্তবধর্মী পরিকল্পনা অনুযায়ী ডিপিপি তৈরি করতে হবে।

সভায় প্রকল্প পরিচালকদের সরকারি ক্রয় বিধি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনার উপর প্রশিক্ষণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

অতিরিক্ত সচিব শামীমা সুলতানাসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।