ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে গুলশানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ১১০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গর্ভনর বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের অর্থনীতিকে পরিচিত করে তুলছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে তলাবিহীন ঝুড়ি নয়, সম্ভাবনাময় অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক তা বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরছে ওই প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬.২ শতাংশ হারে বাড়ছে, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিচারে বাংলাদেশ যে বিশ্বে আদর্শ তা তুলে ধরার জন্য এ ব্যাংকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গভর্নর।
গভর্নর বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বিদেশি ব্যাংক হয়েও প্রাদেশিক ব্যাংক হয়ে গেছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করছে। আতিউর রহমান বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক প্রথম যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশে এফসি একাউন্ট, এটিএম বুথ, এলসি, প্রোজেক্ট লোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড সুবিধা সৃষ্টি করেছে।
এ ব্যাংকটি বিপিসি, বাংলাদেশ বিমানসহ বড় বড় পাবলিক প্রাইভেট প্রোজেক্টে লোনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে। প্রবাসীদের এ ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশের বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানান গর্ভনর।
এ ব্যাংক সব বেসরকারি ব্যাংকের আদর্শ হিসেবে দাঁড়াবে এবং প্রবাসীদের উৎসাহিত করবে বলে আশা করেন তিনি। একই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড গ্রাহক সেবার যে মান নির্ধারণ করেছে তা বজায় রেখে সব বেসরকারি ব্যাংকের জন্য উদাহরণ হতে তিনি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, গ্রাহকরাই মুল পুঁজি, গ্রাহকরা যেন কোনো কষ্ট না পায়, কোনো অভিযোগ করলে তা গ্রহণ করে যেন দ্রুত সমাধান করা হয়। বড় ছোট সব গ্রাহকের জন্য একই সুবিধা গ্রহণ ও সব গ্রাহককে একই দৃষ্টিতে দেখতে ব্যাংকের প্রতি অনুরোধ জানান গর্ভনর।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড কৃষি, এসএমই, নারী উদ্যোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাংকের চেয়ে দ্রুত সামনে এগিয়ে এসেছে বলে প্রশংসা করেন গর্ভনর। বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে মানবিক, সামাজিক ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ, বিনিয়োগবান্ধব করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের সিইও আবরার এ আনোয়ার বলেন, এ ব্যাংক অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে ও অব্যাহতভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছে। এ ব্যাংকের ২৬টি ব্রাঞ্চ ও বুথ, ৮৩টি এটিএম ও ২ হাজারের উপরে কর্মী নিয়ে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক ব্যাংক।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডব্লিউ গিবসন বক্তব্য রাখেন। পরে ব্যাংকের নতুন সজ্জিত হেড অফিসের সামনের অংশের উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের আনন্দ রেঁস্তোরার স্বত্তাধিকারী রোকসানা হুসেইন কাছে ৪০ লাখ টাকার ঋণের চেক তোলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
আরইউ/বিএস/এসই