বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে: বেডরুমেরও নিরাপত্তা দিতে চায় সিকিউরেক্স। এটি অবশ্য প্রতীকী কথা।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) থেকে শুরু হওয়া তিনদিনের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় শনিবার (২৩ মে) চলছে তৃতীয় ও শেষদিন। মেলার ৭০ ও ৭১ নম্বর স্টলটি সাজানো হয়েছে সিকিউরেক্সের বিভিন্ন নিরাপত্তা-সামগ্রীতে।
কোম্পানির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া ও কর্মকর্তা আবরার হক বাংলানিউজকে সামগ্রীগুলোর দাম ও কার্যকারিতা বর্ণনা করেন।
তারা জানান, বাড়িতে কলিংবেলের শব্দে অনেকেই অস্থির হতে পারেন। ছোট্ট শিশু রেখে যারা কাজে যান, তাদের চিন্তা অনেক বেশি। দরজার ওপাশে না জানি কোন বিপদ দাঁড়িয়ে।
সে সমস্যার সমাধানে এসেছে সিকিউরেক্সের ভিডিও ডোর ফোন। ওপাশে কে রয়েছে তার ছবি দেখা ও ফোনে তার সঙ্গে কথা বলা যাবে এ যন্ত্রে। ১৫-২০ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে এটি।
গয়না নিয়ে যাদের টেনশনে থাকতে হয় তারা নিতে পারেন কোবরা সেফস। আগুনেতো নয়ই, গ্যাসেও কাটা যাবে না এ বাক্স। এটি পাওয়া যাবে দেড় লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকায়। এর ক্ষতি করতে চাইলে বা ভাঙতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে ১৫টি নম্বরে ফোন দেবে এ স্বয়ংক্রিয় বাক্স। জানিয়ে দেবে, অবৈধ হস্তক্ষেপের খবর।
ফাইলপত্র ও গয়না উভয়ই নিরাপদে রাখা যাবে টু-ইন-ওয়ান সেফস বাক্সে। এর দাম পড়বে সাড়ে ৪ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ। ছোট ব্যাংক ও বিদেশি কোম্পানিগুলো এর মূল ক্রেতা বলে জানান কর্মকর্তারা।
কম্পিউটারের মূল্যবান তথ্য সুরক্ষিত রাখবে ডাটাপ্লাস। আগুন, আর্দ্রতা ও ধুলা-ময়লা থেকে সিডি ও মূল্যবান তথ্যকেও বাঁচাবে এ বাক্স। এর জন্য খরচ হবে ১০-১২ লাখ টাকা।
একই কাজে আরেকটু কম খরচে পাওয়া যাবে মাইক্রো-ফায়ার কেবিনেট। এতে খরচ হবে ২-৪ লাখ টাকা।
বায়োমেট্রিক অ্যাক্সেস কন্ট্রোল সেফ ব্যাংকের সম্পদের নিরাপত্তা দেবে। খরচ হবে সাড়ে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা।
ব্যাংকে স্বর্ণ ও অত্যন্ত মূল্যবান বস্তু নিরাপদ রাখবে সেফ ডিপোজিট লকার কেবিনেট। এর জন্য ব্যয় হবে সাড়ে চার লাখ টাকা থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। ব্যাংকের জন্যই আরেক সামগ্রী ‘এ’ কোয়ালিটি অ্যান্ড ব্যাংকারস কোয়ালিটি ডোর। এতে ব্যয় হবে সাড়ে আট লাখ টাকা।
মালিক ছাড়া টাকা ওঠানো যাবে না, স্বয়ংক্রিয় এমন যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে হাসপাতাল, পেট্রোল পাম্প, শপিং মলে।
আগুন থেকে মূল্যবান বস্তু বাঁচাতে ১৫ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পাওয়া যাবে ফায়ার-ফ্রি বক্স।
২৮শ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাবে স্মোক ডিটেক্টর। ধোঁয়ার অস্ত্বিত্ব টের পেলেই অ্যালার্ম বাজিয়ে সাবধান করবে এ যন্ত্র।
ইমার্জেন্সি ব্রেক গ্লাস সুইচ দেবে আগুনে সাবধানতা ও নিরাপত্তা। খরচ পড়বে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মীরা কে কখন প্রবেশ বা প্রস্থান করবেন, সেটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া যাবে ফিঙ্গার প্রিন্ট রিডারে। নির্দিষ্ট সময় পরে যদি অযাচিত আগমন ঠেকাতে চান, সেটিও সম্ভব করবে এ যন্ত্র। ব্যয় করতে হবে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
কাছাকাছি রকমের আরেকটি যন্ত্র পাওয়া যাবে অ্যাক্সেস কন্ট্রোল কন্ট্রোলার। রেকর্ডগুলো সরাসরি কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেবে এ যন্ত্র। এতে খরচ হবে ৪৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা।
এছাড়া ওয়াক থ্রো মেটাল ডিটেক্টর (আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর) দেবে বাড়িতে বা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা। কেউ কোনো বিস্ফোরক যন্ত্র নিয়ে বা ক্ষতিকর অস্ত্র নিয়ে ঢুকছে কি-না সেটি জানাবে এ যন্ত্র।
সিকিউরিটি অ্যালার্ম কন্ট্রোল প্যানেল ও ডুয়াল টেক মোশন সেন্সরের প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকায়। কারও বা কিছুর নড়াচড়া টের পাইয়ে দেবে এ যন্ত্রগুলো। বেশিরভাগ ব্যাংকেই ব্যবহার করা হচ্ছে এগুলো।
এছাড়া হিট ডিটেক্টর পাওয়া যাবে তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকায়, আগুনে অ্যালার্ম দেওয়া ‘পাগলা ঘণ্টা’ ১০ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকায়, আগুন থেকে বাঁচাতে স্প্রিংকলার ২৮শ’ টাকা থেকে তিন হাজার টাকায়, আউটডোর পিআইআর মোশন সেন্সর পাওয়া যাবে তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়।
একই বিভাগের কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার বাংলানিউজকে জানান, এ মেলায় ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য নিরাপত্তা সামগ্রীগুলো সিকিউরেক্সের। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে এসব সামগ্রী এনে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এসকেএস/এএসআর
** সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার প্যাকেজ বুকিংয়ে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ ফ্রি !
** বাংলা’র ‘শিশিরবিন্দু’ দেখাবে পর্যটন