ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে জরুরি।
তিনি বলেন, প্রতিটি খাতেই বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
শনিবার (২৩ মে) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) আয়োজিত ‘ব্লু ইকোনমি: এক্সপ্লোরিং মেরিন রিসোর্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
গওহর রিজভী বলেন, দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা। সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার বিশাল সম্ভবনা রয়েছে। এই অর্থনৈতিক সফলতার জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ব্লু (সমুদ্র) ইকোনমিকের ভিত্তি হলো স্থিতিশীলতা। এ স্থিতিশীলতার জন্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। এ জন্য নীতিমালা করাও সরকারের কাজ। আর বিনিয়োগের জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।
মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা খাতসহ বিভিন্ন খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ অব্যহত রাখতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলে, গবেষণা কাজে পারদর্শী ও প্রশিক্ষিত মানুষ আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষিকাজের গবেষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তিনি জানান, শিগগির কোস্টগার্ডকে ৪টা জাহাজ দেওয়া হবে।
এমসিসিআই সভাপতি নাসিম মঞ্জুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিয়ার অ্যাডমিরাল খুরশিদ আলম।
স্থিতিশীল সামুদ্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাহাজিকরণ ও বন্দর সুবিধা, মৎস্যজীবী, কৃষি, পর্যটনের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বৈশ্বিক লেনদেনের ৮০ শতাংশই জাহাজিকরণ ও বন্দরের মাধ্যমে হয়ে থাকে। প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে এর অবদান ৪৩৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। এছাড়া ১৪ মিলিয়ন মানুষের চাকরির ব্যবস্থাও হয়।
তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে ৩৫০ মিলিয়ন মানুষের কাজের ব্যবস্থা হয় সমুদ্রে মাছ ধরার মাধ্যমে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ মৎস্যজীবী উন্নত দেশে বাস করেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার আসে সমু্দ্রে মাছ ধরার মাধ্যমে।
এমসিসিআই সভাপতি নাসিম মঞ্জুর বলেন, বাংলাদেশ এক লাখ ১৮ হাজার বর্গকিলোমিটির সমুদ্রসীমার মালিক। যা দেশের প্রকৃত আয়তনের ৮০ শতাংশের সমপরিমাণের চেয়েও বেশি। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল (এনএম) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম সমুদ্র উপকূলে আছে ৩৫৪ এনএম। এ কারণে বাংলাদেশের পানি শাসন ক্ষমতার অংশীদারিত্ব ৬.৪ শতাংশ থেকে ৪৪.৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, সামদ্রিক মৎস্য আহরণের মাধ্যমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫.৮৯ লাখ মেট্রিক টন মাছ ধরা হয়েছে। যা বাংলাদেশের মোট মাছ উৎপাদনের ১৭.২৭ শতাংশ। প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৪৭৫টি স্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এএসএস/এএসআর