ঢাকা: ‘হাউজিং লোন’ নামে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)-এর পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গৃহায়ণ শিল্প রক্ষার্থে একটি প্রস্তাবনা জমা দেয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়।
হাউজিং লোনের এই তহবিল থেকে ঢাকা শহরের আশেপাশে কিংবা মিউনিসিপ্যাল এলাকায় ১৫০০ বর্গফুট বা তার চেয়ে ছোট ফ্ল্যাট নির্মাণ করার জন্য ৭ থেকে ৯ শতাংশ সুদে ফ্ল্যাট-ক্রেতাদের ঋণসুবিধা দেওয়ারও দাবি জানায় রিহ্যাব। ফ্ল্যাট-ক্রেতাদের চাহিদা মতো এই ঋণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
রিহ্যাবের দাবির মধ্যে রয়েছে, বৈধভাবে উপার্জিত অপ্রদর্শিত অর্থ অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগের সুযোগ রেখে আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪-এর ধারা ১৯ বি বি বি বি বি-তে সংযোজন করে কোনো প্রশ্ন ব্যতিরেকে ভবন বা অ্যাপার্টমেন্টে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন ভূমি নিবন্ধন কর যথাক্রমে গেইন ট্যাক্স ৪ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ, স্ট্যাম্প ফি ৩ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।
গৃহায়ণ শিল্পের উদ্যোক্তাদের আয়কর আবাসিক (শ্রেণি-১) ১১ হাজার ৬শ থেকে ১ হাজার ৩শ, (শ্রেণি-২) ১ হাজার ৫শ থেকে ১ হাজার ২শ, (শ্রেণি-৩) ৬শ থেকে ৩শ এবং অনাবাসিক (শ্রেণি-১) ৬ হাজার ৫শ থেকে ৪ হাজার, (শ্রেণি-২) ৫ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ, (শ্রেণি-৩) ১ হাজার ৬শ থেকে ৮শ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও দেশের সব ভবনে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিনাশুল্কে অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি আমদানির অনুমতি প্রদান করার আবেদন করা হয়েছে।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, দীঘর্দিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গৃহায়ণ শিল্প চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পতিত হয়েছে। ২০১৫-১৬ সালের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবনাসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হলে আবাসন শিল্প রক্ষার্থে ফলপ্রসূ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৫
এসই/এবি/এবি