ঢাকা: ব্যাংক ও অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নগদ লেনদেনের তথ্যও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে পাঠাতে হবে।
সোমবার (২৫ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ’র মহাব্যবস্থাপক নাসিরুজ্জামান এক প্রজ্ঞাপন জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
চলতি বছরের ০১ জুন থেকে নির্দেশনা কার্যকর হবে। প্রতি মাসের ২১ তারিখের মধ্যে আগের মাসের হিসাবের তথ্য পাঠানোর কথাও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। আবার কোনো মাসে লেনদেন না হলে, ‘রিপোর্ট করার মতো কোনো লেনদেন নেই’ লিখে রিপোর্ট দিতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, ১০ লাখ বা তার বেশি লেনদেন হলে সেটি নগদ লেনদেন হিসেবে বিএফআইইউকে জানাতে হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মানি লন্ডারিং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নগদ লেনদেন রিপোর্টিং চালু করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নগদ লেনদেন বলতে ব্যাংক হিসাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হিসাবের অনুকূলে তাদের গ্রাহক বা তৃতীয় পক্ষের সম্পাদিত লেনদেনকে বোঝাবে।
সরকারি হিসাব, সরকার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে নগদ জমার ক্ষেত্রে নগদ লেনদেন রিপোর্ট করার দরকার হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ উত্তোলনের পর রিপোর্ট করতে হবে।
এসব রিপোর্ট বিএফআইইউকে পাঠানো হলেও কমপক্ষে পাঁচ বছর সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
এসই/এসএস