ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় সংশোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫
চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় সংশোধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা:  সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব (ভেরিয়েশন অর্ডার) সংশোধন করা হয়েছে।

এতে চারটি প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ও দুটি প্রকল্পের ব্যয় কমেছে।



বুধবার দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির ক্রয় ও অর্থনীতি শাখার ১৬তম বৈঠকে এ সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
 
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের সড়ক নির্মাণ কাজের ১ নম্বর প্যাকেজের আওতায় দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে কুটুম্বপুর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার নির্মাণে ব্যয় হবে ২০৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

৪ নম্বর প্যাকেজের আওতায় কুমিল্লা বাইপাসের শেষ হতে বাতিশা বাজার পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার নির্মাণ কাজে ব্যয়  হবে ১৬৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

৯ নম্বর প্যাকেজের আওতায় পঞ্চশিলা বাজার থেকে কুমিরা বাইপাসের শেষ পর্যন্ত ১৭ দশমিক ৪২৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১৬০ কোটি ৪৪ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা।

১০ নম্বর প্যাকেজের আওতায় কুমিরা বাইপাসের শেষপ্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত  ১৫ দশমিক ২৮৯ কিলোমিটার নির্মাণে ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

দুটি সড়কের নির্মাণ ব্যয় কমেছে, ২ নম্বর প্যাকেজের আওতায় কুটুম্ব থেকে কুমিল্লা বাইপাসের শুরু পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা।

৮ নম্বর প্যাকেজের আওতায় মিরসরাই বাজার থেকে পঞ্চশিলা বাজার পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।

এছাড়াও jica oda loan (bd-p56)-এর আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের উপপ্রকল্প চট্টগ্রাম স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিং-এর আওতায় চট্টগ্রাম স্টেশন ইয়ার্ড  রিমডেলিং কাজের ব্যয় ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর  পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ১৫৯ কোটি ৮০ লাখ ৮১ কোটি টাকার প্রস্তার অনুমোদন ও ঠিকাদার নিয়োগ অনুমোদন করা হয়েছে।

কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলপথ পুনর্বাসন ও কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ৩২ দশমিক ৩৬৫ কিলোমিটার নতুন বিজি লাইন ও ৫ কিলোমিটার লুপ লাইন, স্টেশন বিল্ডিং  ও সেতু নির্মাণ কাজ আপিলের রায় হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

এ ছাড়াও পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বিভিন্ন সেক্টরে সারফেস ড্রেনসহ অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাব, উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরের মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর  এপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্পের ১টি প্রকল্পের আওতায় ৩টি গ্রুপে ৬৭২টি ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজের (অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সরবরাহ লাইন, পয়োনিষ্কাশন প্রণালী, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ এবং ৬ নম্বর ব্রিজের অবশিষ্ট কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।  

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৫/আপডেটেড: ১৮১০ ঘণ্টা
এসই/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।