ঢাকা: বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলায় স্থাপিত হচ্ছে দেশের প্রথম সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) অর্থনৈতিক অঞ্চল। ‘মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামের এ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান পাওয়ার প্যাক পিপিএমকেপিপিএল জেভিকে প্রাক-যোগ্যতার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ লাইসেন্স দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে এ লাইসেন্স গ্রহণ করেন পাওয়ার প্যাক হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরায়া বেগম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ’র (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, প্রকল্পের পরিচালক হারুনর রশিদ প্রমুখ।
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে, বেজা’র চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার পক্ষ থেকে বেজাকে এক বছরের মধ্যে ১০০টিতে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্র দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি, এটি সম্ভব।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা বিদ্যুৎ সমস্যার অনেকখানি সমাধান করেছি। তাই আমরা আশা করি, কাজ করলে সব অসম্ভবই সম্ভব।
পাওয়ার প্যাকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিদ্যুতসহ অন্যান্য যেসব উপকরণ আছে আমরা সবকিছুই সরবরাহ করবো। আপনাদের কাজ হবে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য টাকা নিয়ে বসে আছেন।
তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করবো। এছাড়া প্রতি জেলায় হাইটেক পার্ক করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। ৮টির কাজ প্রক্রিয়াধীন।
প্রকল্প পরিচালক হারুনর রশিদ বলেন, আগামী ১৫ বছরে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো থেকে প্রতি অর্থবছরে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি হবে।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কর অব্যহতিসহ বিভিন্ন বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বেজা’র পক্ষ থেকে অফ-সাইট অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে মাটি ভরাট, সংযোগ সড়ক, ব্রিজ, বাউন্ডারি ওয়াল ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কার্যাদেশের ভিত্তিতে কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
এএসএস/জেডএস