ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তামাকপণ্যের অবৈধ বাণিজ্যে সরকারের ক্ষতি ২৪৩২ মিলিয়ন টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
তামাকপণ্যের অবৈধ বাণিজ্যে সরকারের ক্ষতি ২৪৩২ মিলিয়ন টাকা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে তামাকের অবৈধ বাণিজ্যের কারণে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে ২৪৩২ মিলিয়ন টাকার রাজস্ব।
 
বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ সাংবাদিকতা পুরস্কার-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।



বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রেম ওয়ার্ক কনভেনশন অ্যালায়েন্স (এফসিএ) ও হেলথ ব্রিজের ২০১০ সালের গবেষণা অনুযায়ী দেশে তামাকের অবৈধ বাণিজ্যের পরিমাণ বছরে ৬৮৪ মিলিয়ন টাকা। এর ফলে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে ২৪৩২ মিলিয়ন টাকার রাজস্ব।
 
বক্তারা আরও জানান, এ অবৈধ বাণিজ্যের ফলে রাজস্ব ক্ষতি ছাড়াও তামাকপণ্যে আরোপিত করের প্রভাবও অকার্যকর হয়ে পড়ছে। ফলে তরুণ, নিম্নবিত্ত ও স্বল্পশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাকপণ্যের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে ২০০৯ অনুযায়ী দেশে মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে (২০০৪- ২০০৯) তামাক ব্যবহারকারীর হার বেড়েছে ৬ শতাংশ (৩৭%- ৪৩%)। বাংলাদেশে এখন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা চার কোটিরও বেশি।
 
অনুষ্ঠানে প্রজ্ঞা পরিচালিত ২০১১ সালের গবেষণা তুলে ধরে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রায় ২৬ শতাংশ সিগারেট-বিড়ি-চুরুট এবং ১৪ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য অবৈধভাবে বিক্রি হয়। মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ইংল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশসহ ৫০টির বেশি দেশ থেকে আসা শতাধিক ব্র্যান্ডের অবৈধ তামাকপণ্যের বাজার এখন বাংলাদেশ।

প্রজ্ঞা আরও জানায়, অবৈধ সিগারেট ও চুরুটের অধিকাংশই আসে সমুদ্র ও বিমানপথে। ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের প্রায় পুরোটাই আসে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত তামাক পণ্যেরও একটা অংশ কর ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করা হয়।
 
এ অনুষ্ঠানে তামাক বিরোধী রিপোর্ট করার জন্য চারজন সাংবাদিককে অ্যান্টি টোব্যাকো জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড-২০১৫ প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
 
অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার এস এ এম হামিদউজ্জামান, ডেইলি স্টারের লালমনিরহাট প্রতিনিধি এস দিলীপ রায়, এনটিভির আশিকুর রহমান ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার আবু বক্কর সিদ্দিক।
 
দৈনিক সকালের খবরের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মানসের সভাপতি অধ্যাপক ড. অরুপ রতন চৌধুরী, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জোবায়ের ও অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
এলকে/এসইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।