ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সপ্তাহের বাজারদর: পেঁপের কেজি ৫০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৪ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
সপ্তাহের বাজারদর: পেঁপের কেজি ৫০ ফাইল ফটো

ঢাকা:  শীত প্রধান সবজি হিসেবে কাঁচা পেঁপের পরিচিতি থাকলেও এখন বারোমাসই বাজারে পাওয়া যায়। তবে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পেঁপে খেতে ক্রেতাদের কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা বেশি গুনতে হয়।

চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকাতেই এই বেশি টাকা গুনতে হয় বলে দাবি বিক্রেতাদের।

গত দুই মাস ধরে প্রতিকেজি পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত দুই থেকে আড়াই মাস আগে ১৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই কেনা সম্ভব হয়েছে। এদিকে দুই একটি পণ্য ছাড়া অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত সাতদিনে তেমন পরিবর্তন হয় নি।

 রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মিরপুর, নিউমার্কেট, মহাখালী, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এবং কৃষি বিপনণ অধিদফতরের বাজার দর বিশ্লেষণ করে এমনই তথ্য পাওয়া গেলো।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রাশেদুল জানান, প্রায় আড়াই মাস হলো পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য সময়ের চেয়ে দাম বেশি হলেও ক্রেতারা কিনেন।
 
বাংলানিউজের পাঠকের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যের দাম তুলে ধরা হলো। মান ভেদে প্রতিটি পণ্যের দামের পার্থক্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
সবজির বাজার: প্রতিকেজি আলু (সাদা) ১৬ থেকে ১৮ টাকা, বেগুন ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১৮ থেকে ২২ টাকা, শশা ১৮ থেকে ২২ টাকা, ঝিংগা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বরবটি ২৫ থেকে ৩২ টাকা, কচুরলতি ২০ থেকে ২৮ টাকা, ধুন্দল ২২ থেকে ২৮ টাকা, পটল ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ঢেড়স ১৮ থেকে ২৮ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া কেজিপ্রতি খোলা চিনি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, গুড় (আখের) ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, খেজুর ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মশলার বাজার: প্রতিকেজি পিঁয়াজ (দেশি) ৪০ থেকে ৪২ টাকা, আমদানি (ভারত) ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, রসুন (দেশি) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আমদানি (চায়না) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা, শুকনামরিচ দেশি ১২৫ থেকে ১৫৫ টাকা, আমদানি (ভারত) ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, আদা (দেশি) ১৮০ থেকে ২১০ টাকা, আমদানি (চায়না) ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, (ভারত) ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
মাছের বাজার: এক থেকে দুই কেজি ওজনের রুই মাছ (দেশি) ১৭০ থেকে ২৭০ টাকা, আমদানি ১৬০ থেকে ২৬০ টাকা, কাতল (দেশি) ১৭০ থেকে ৩৮০ টাকা, পাংগাস (চাষ) ১১০ থেকে ১২৫ টাকা, সিলভার কাপ/ব্রিগেড ১১৫ থেকে ১৭৫ টাকা, তেলাপিয়া ১২৫ থেকে ১৬০ টাকা, কৈ (চাষ) ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৩৪০ থেকে ৪১০ টাকা এবং ইলিশ (৪০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম) ৬৫০ থেকে ৮৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাংসের বাজার: প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা, খাসি ৪৯০ থেকে ৫৪০ টাকা, মুরগি (দেশি) ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা, কক/সোনালী ২৪৫ থেকে ২৬০ টাকা, ফার্ম/ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি চারটি ডিম (দেশি) ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, ফার্ম (লাল ও সাদা) ২৯ থেকে ৩১ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

চাল ও আটা’র বাজার: প্রতিকেজি নাজিরশাইল ৪৬ থেকে ৫২ টাকা, মিনিকেট (নতুন ও পুরাতন) ৪০ থেকে ৪৬ টাকা, পারিজা, হাসকি, বিআর-২৮ ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা, মোটা (গুটি, স্বর্ণা) ৩০ থেকে ৩২ টাকা, কালিজিরা, চিনিগুড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লাল ও সাদা ২৮ খেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্চে।

কেজিপ্রতি আটা (খোলা ও সাদা) ২৮ থেকে ৩০ টাকা, পলিপ্যাক ৩৩ থেকে ৩৬ টাকা, ময়দা (খোলা ও সাদা) ৩৩ থেকে ৩৫ টাকা, পলিপ্যাক ৪০ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
ডাল ও ছোলার বাজার: গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের শেষ দুইদিন কেজিপ্রতি ডালের দাম কমেছে দুই থেকে এক টাকা।
 
বাজারে এককেজি মশুরের ডাল (দেশী ও বিদেশি উন্নত) ১১৮ থেকে ১২৪ টাকা, দেশী (সাধারণ) ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, বিদেশি (সাধারণ) ৯০ থেকে ৯৬ টাকা, মুগ (সরু) ১১২ থেকে ১১৮ টাকা, মুগ (মোটা) ৮৫ থেকে ৯৬ টাকা, ছোলা বিদেশি (আস্ত) ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, খেসারি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, মাশ ১১২ থেকে ১১৮ টাকা এবং ছোলা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তেলের বাজার: প্রতিলিটার সয়াবিন (খোলা) ৭৮ থেকে ৮০ টাকা, পাম তেল (খোলা, সাধারণ ও সুপার) ৬০ থেকে ৬৪ টাকা, সরিষার ১২০ থেকে ১২৮ টাকা, সয়াবিন ক্যান (বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫লি:) ৪৬০ থেকে ৪৮০ টাকা, সয়াবিন (ক্যান এক লি:) ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৫
একে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।