ঢাকা: চলতি অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার আশানুরূপ হয়নি। এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৬৬ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ কারণে স্বয়ং কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী পিছিয়ে পড়া কর্মসূচি ও প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করেছেন।
রোববার (৩১ মে) সচিবালয়ে এডিপি নিয়ে বৈঠকে এ সুপারিশ করেন তিনি। বৈঠকে কৃষি সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি অর্থ বছরে (২০১৪-১৫) মোট ৬৩টি প্রকল্প ছিল। মোট বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৪৩১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি এক হাজার ১৫০ কোটি ১০ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য রয়েছে ২৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। মোট বরাদ্দের বিপরীতে এপ্রিল পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৬৬ শতাংশ।
গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের অগ্রগতি ছিল ৬৪ শতাংশ। তবে চলতি অর্থ বছরে সরকারি সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৬৪ শতাংশ হলেও প্রকল্প সাহায্য অর্থের আওতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৭২ শতাংশ।
সভায় পিছিয়ে পড়া এবং অগ্রগামী প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রোডাক্টিভিটি প্রজেক্টের বাস্তবায়নের হার ৭৩ শতাংশ, পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের হার ৬৯ শতাংশ। তবে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রজেক্টের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ প্রায় শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ উইং এর মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বাংলানিউজকে জানান, কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিকূল পরিস্থিতি দায়ী। তবে এসব প্রকল্পগুলো সঠিক ও কঠিনভাবে তদারকি করা হচ্ছে। দিক নিদের্শনা দেওয়া হচ্ছে যেন বাকি দুই মাসের মধ্যে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭ টি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের এডিপি বাস্তবায়ন করেছে ৬৪ শতাংশ। এর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) ৬৮ শতাংশ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ৬০ শতাংশ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বারি) ৬৮ শতাংশ, বিএমডিএ ৬৯ শতাংশ, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার মার্কেটিং (ডিএএম) ৭০ শতাংশ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ৯৮ শতাংশ।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) ৭৯ শতাংশ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিজেআরআই) ৮০ শতাংশ, বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিনা) ৬০ শতাংশ, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএসআরআই) ৯৩ শতাংশ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআরআরআই) ৮৩ শতাংশ, কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) ৭৮ শতাংশ, এলজিইডি ৫৮ শতাংশ, সিডিবি ৬৭ শতাংশ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি ৮০ শতাংশ, বারটান ৮৩ শতাংশ ও অন্যান্য সংস্থা (কেজিএফ, হর্টেক্স, আইএপিপি ও সচিবলায় অংগ) ৬৪ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৭ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৫
একে/কেএইচ