ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগে সম্ভাবনাময় সিলেট, শিল্পবান্ধব বাজেট চাই

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৫
বিনিয়োগে সম্ভাবনাময় সিলেট, শিল্পবান্ধব বাজেট চাই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: শিল্পখাতে বিনিয়োগের সুবিধা ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুবসমাজ, নারী উদ্যোক্তাসহ সব শ্রেণির জনগণের সম্পৃক্ততায় পরিকল্পিত বাজেট চান সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি তরুণ শিল্পপতি-ব্যবসায়ী মামুন কিবরিয়া সুমন।

সম্প্রতি বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শিল্পখাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় অঞ্চল সিলেট।

বাজেটে বিষয়টি প্রাধান্য পেলে এ অঞ্চলে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি নতুন শিল্পদ্যোক্তারা এগিয়ে আসবেন।

আর এজন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সরকারের সব ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ শিল্পবান্ধব বাজেট প্রণয়ন চান বলেও মত দেন তিনি।

রাজনৈতিক কারণে ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সব সময় ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখার কথা চিন্তা করা উচিত। কারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

হরতাল অবরোধে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে এজন্য সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

একইসঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবকদের পরিকল্পিত কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কাজে লাগানোর কথাও বলেন মামুন কিবরিয়া।

তিনি বলেন, দেশে হাজার হাজার কোম্পানি রয়েছে যারা কর ফাঁকি দেয়। এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুবকদের ইনসেন্টিভ ভিত্তিতে কর আদায়ে তদারকির দায়িত্ব দিতে পারে সরকার। এতে ভাল ফলাফল করে যুবকদের চাকরির পেছনেও ছুটতে হবেনা। এজন্য সরকারকে বাজেটেও বেকারদের কর্মসংস্থানে ভর্তুকি দিতে হবেনা।

এছাড়া সব শ্রেণির মানুষকে কর দিতে উৎসাহিত করাসহ এসব ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়ালে দেশে উন্নয়নের বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।  

তিনি বলেন, বর্তমান যুগের শিক্ষিত বেকাররা অনেকটা দুর্নীতি প্রবণতা থেকে মুক্ত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের কাজে লাগানো গেলে এ দেশ মালয়েশিয়া হতে সময় লাগবে না।

মামুন কিবরিয়া আরও বলেন, দেশের উন্নয়নে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কৃষিকাতে উৎপাদন ব্যাহত হলে বিপর্যয় নেমে আসবে। ফলে পরনির্ভরশীল হতে হবে।

ফলে কৃষকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ঠিকমতো কৃষিখাতে ব্যবহার করা হচ্ছে কীনা- এ বিষয়ে সরকারকেই তদারকি করতে হবে।

এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ সঠিক স্থানে না পৌঁছালে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী পিছিয়ে থাকবে। আর একটি দেশের কোনো জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে রেখে উন্নয়ন দাবি করা যায় না।

স্কুল-কলেজ ও পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ানোর বদলে আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ে বাজেটে গুরুত্বারোপ করতে হবে। তা না হলে বহির্বিশ্বের তুলনায় পিছিয়ে পড়বে দেশ।

একই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তি খাতে যুগোপযোগী বাজেট প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে বাজেট বাড়ালে যুবকরা বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের বাইরেও তথ্য সেবা দিতে পারেন।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বলা হলেও বাস্তবে এর কোনো কার্যক্রম নেই। এ কারণে সিলেটে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যেমন বাধা রয়েছে, তার থেকেও রফতানি করা আরও কঠিন। বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৫
এনইউ/এসএন/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।