ঢাকা: দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক খাতের উৎসে করে গত বছর যে সুযোগ দেয়া হয়েছিল এ বছর তা আর থাকছে না। এবার সেই সুযোগ প্রত্যাহার করে তৈরি পোশাকে প্রায় আড়াই গুণ বাড়িয়ে ১ শতাংশ কর কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৪ জুন’২০১৫) বিকালে জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক ও অন্য সব রপ্তানি পণ্যের উপর করহার যথাক্রমে রপ্তানিমূল্যের দশমিক ৩০ শতাংশ ও দশমিক ৬০ শতাংশে নামানো হয়। এই সুযোগটি শুধু এক বছরের জন্য দেয়া হয়েছিল। এ বছর আর সেই সুযোগ থাকছে না। সেটি প্রত্যাহার করে তৈরি পোশাক, টেরি টাওয়েল, কার্টন ও এক্সেসরিজ, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছসহ সকল রপ্তানি পণ্যের রপ্তানি মূল্যের উপর ১ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন এবং উক্ত কর সকল ক্ষেত্রে করদাতার চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে পোশাক শিল্প খাতের ক্রমবিকাশের স্বার্থে কতিপয় পণ্যে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত শুল্ক ও সমুদয় মূল্য সংযোজন কর মওকুফেরও প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'পোশাক শিল্পখাত আমাদের প্রধান রপ্তানিমুখী শিল্পখাত। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে উক্ত খাত বিগত প্রায় তিন দশক ধরে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রেখে আসছে। মূলত উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা এবং তৎসঙ্গে সরকারের সহায়তা সমর্থনের ফলেই তা সম্ভব হয়েছে। '
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপদ উৎপাদন পরিবেশ সৃষ্টির চাপ থাকায় এ খাতের অগ্নি নির্বাপক, নিরাপত্তা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং অবকাঠামোগত পণ্যে শুল্ক ও কর রেয়াত প্রদানের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বস্ত্রখাতের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ব্যবহার্য যন্ত্র বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেম এ মূলধনী যন্ত্রপাতির রেয়াতি সুবিধা প্রদান এবং ফ্লাক্স ফাইবার নামক কাঁচামালের শুল্ক মওকুফ করার প্রস্তাব করছি। '
২০১৩ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত বছর এ খাতে উৎসে করহার দশমিক ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘন্টা জুন ৪, ২০১৫
এজেডকে/এনএস