ঢাকা: বাজেটে বস্ত্রখাতের কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয় করতে হবে। অন্যথায় এই শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্থই হবে না বরং প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে টিকতে না পেরে অচিরেই মুখ থুবড়ে পড়বে।
শনিবার (০৬ জুন) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, উৎস কর ০.০৩ শতাংশ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বাড়িয়ে ১ শতাংশ উপনীত করার সিদ্ধান্ত, তৈরি পোশাক খাতের সম্ভাবনাকে অনেকাংশে বাধাগ্রস্থ করবে। অর্থাৎ এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী নয়।
‘কেননা পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলো সম্প্রতি পোশাক রফতানিতে খুব ভালো করেছে,’ যোগ করেন সালাম মুর্শেদী।
যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর কর আরোপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পোশাক শিল্প বিকাশের অন্যতম নিয়ামক মূলধনী যন্ত্রপাতি। এসব যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যা এই শিল্পের বিনিয়োগের প্রক্রিয়াকে কিছুটা হলেও স্থবির করেছে। তাই ১ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
সালাম মুর্শেদী বলেন, বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আগের বাজেটের তুলনায় প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি।
‘অন্যদিকে ইউরো ও ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বৃদ্ধি ইউরোপিয়ান দেশসমূহে এবং আমেরিকার বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাকে অনেকাংশে কমিয়েছে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৫
ইউএম/এমএ